মুখ্যমন্ত্রী মমতার পরিবারের সদস্যদের ‘সম্পত্তির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি’ নিয়ে মামলার শুনানি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের ‘অস্বাভাবিকভাবে সম্পত্তি বৃদ্ধির’ অভিযোগে করা মামলার শুনানি হলো আজ মঙ্গলবার। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রী বাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হয়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ এনে গত ২৯ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্য আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এ মামলা করেছিলেন।

শুনানি শেষে ডিভিশন বেঞ্চ আজ এক নির্দেশে জানিয়ে দেয়, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে তাঁদের বক্তব্য। এরপর দুই সপ্তাহের মধ্যে পাল্টা হলফনামা দিতে হবে মামলাকারীকে। আর ২৮ নভেম্বর হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

এই মামলার আবেদনকারী তাঁর আবেদনে বলেন, ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সাল থেকে মমতার পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি হু হু করে বেড়েছে। ২০১৩ সালে আবার এই রাজ্যের চাঞ্চল্যকর সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস হয়। সেই থেকে মমতার পরিবারের সম্পত্তি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।

এই মামলা দায়েরের দিনই মমতা বলেছিলেন, ‘আমি আজ ১২ বছর ধরে আমার এমপি হিসেবে প্রাপ্য পেনশনের অর্থ নিই না। আমার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্য সাড়ে ৩ লাখ রুপির বেতনও নিই না। আমি বিজনেস ক্লাস ছাড়া বিমানে কখনো চড়ি না। আজ আমার নিজের বলতে কিছু নেই। যে বাড়িতে আছি, তা-ও ঠিকা ভাড়া চুক্তিতে বসবাস করছি।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে আছেন। তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা অনুব্রতও মণ্ডলও কারাগারে। দুই নেতারাই কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তবে এসব অভিযোগের জবাবে মমতা বলেন, ‘আমরা সব ভাইবোন পৃথকভাবে আলাদা আলাদা বাসভবনে বসবাস করছি। আমার সঙ্গে আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়মিত কোনো যোগাযোগ থাকে না। কেবল উৎসবের মৌসুমে আমার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ ঘটে। বিশেষ করে কালীপূজা এবং রাখিবন্ধন উৎসবে। তাই বলছি, আমার নিজের বলতে কিছু নেই।’