বাসাভাড়া নিতে লাগবে লিংকডইন অ্যাকাউন্ট

প্রতীকী ছবি। রয়টার্স

নগর এলাকায় বাসা ভাড়া নেওয়ার ঝক্কি কম নয়। আর অবিবাহিত হলে সেই ঝক্কি আরও বেড়ে যায়। কোনো কোনো বাসায় তো রীতিমতো মুচলেকা দিয়ে উঠতে হয়। এরপর সেসব শর্ত মেনেই থাকতে হয় ভাড়াটেদের।

তবে ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাসা খুঁজতে গিয়ে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা হয়েছে গৌতম নামের এক ব্যক্তির। এক বাড়ির মালিক তাঁর লিংকডইন প্রোফাইল চেয়েছেন। আরেক বাড়ির মালিক তাঁকে নিজের সম্পর্কে ছোট্ট করে একটা লেখা জমা দিতে বলেছেন।

‘পিক বেঙ্গালুরু’ শিরোনামে গৌতম তাঁর বাসা খোঁজার অভিজ্ঞতা টুইটারে লিখলে অনলাইনে সাড়া পড়ে যায়। হোয়াটসঅ্যাপ আলাপের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘ইন্দিরানগরে বাসা খোঁজার ১২তম দিন।’

সাধারণত পেশাজীবীরা লিংকডইন ব্যবহার করে থাকেন। সেখানে ব্যবহারকারীর শিক্ষা, পেশাগত যোগ্যতাসহ সংক্ষিপ্ত পরিচিতি থাকে। ওই হোয়াটসঅ্যাপ আলাপে দেখা যায়, কীভাবে বাড়ির মালিক গৌতমের লিংকডইন প্রোফাইল চেয়েছেন। পরে দেওয়া একটি পোস্টে হোয়াটসঅ্যাপ আলাপের আরেকটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন গৌতম। এতে দেখা যায়, তাঁর নিজের সম্পর্কে ছোট্ট একটি লেখা পাঠাতে বলছেন আরেকজন বাড়ির মালিক।

পোস্টটি দেওয়ার পরই টুইটারে ভাইরাল হয়ে যায়। গতকাল রাত নয়টা নাগাদ পোস্টটি দেড় লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। মন্তব্যের ঘরে নেটিজেনরা নিজেদের বাসা খোঁজার অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। অনেকেই বাসা খুঁজতে গিয়ে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েছেন বলে জানান।

একজন লিখেছেন, ‘বেঙ্গালুরুতে এমন ঘটনা অনেক ঘটে। আমি আমার দুই বন্ধুর কথা জানি, যাঁরা ভালো অঙ্কের অর্থ দিয়ে বাসা ভাড়া নিতে চান। কিন্তু তাঁদের নানা প্রশ্ন করা হয়। এরপর তাঁদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া চাওয়া হয়। তাঁরা এখনো বাসা খুঁজছেন।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘নয়াদিল্লির গুরগাঁওয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। আপনাকে প্রোফাইল পাঠাতে হবে। আপনি যদি বেতনভুক্ত চাকরিজীবী না হন, বাসা পাবেন না। স্টার্টআপে কাজ করা লোকজন বাসা ভাড়া পান না।’

এসব মন্তব্যের জবাবে গৌতম লিখেছেন, ‘বেঙ্গালুরুতে চাকরির সাক্ষাৎকার সামলানোর পর আপনাকে বাসা ভাড়া নিতেও সাক্ষাৎকারে বসতে হবে।’