কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরক ভান্ডারে বিস্ফোরণে নিহত ৯, আহত ২৯
ভারতের কাশ্মীরের একটি থানায় জব্দ করে রাখা বিস্ফোরক দ্রব্যের বিশাল ভান্ডারে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ঘটনায় ৯ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দিল্লির লালকেল্লার কাছ থেকে উদ্ধার করা বিস্ফোরকগুলো সেখানে মজুত করা ছিল।
এনডিটিভির বরাতে রয়টার্স বলেছে, এ ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত ও আরও ২৭ জন আহত হয়েছেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই পুলিশ সদস্য ও ফরেনসিক দলে কর্মরত ছিলেন। তাঁরা ওই থানায় মজুত করে রাখা বিস্ফোরক দ্রব্য পরীক্ষা করছিলেন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে—জানিয়েছে এনডিটিভি।
বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। এ বিষয়ে জানার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাৎক্ষণিক জবাব পাওয়া যায়নি।
এর আগে স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছিলেন, ‘নওগাম থানায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আগুন পুরো থানায় ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।’
রাজধানী দিল্লির লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের মাত্র চার দিন পর কাশ্মীরের থানাটিতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুসারে, দিল্লির ওই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হন। ভারত সরকার এটিকে ‘সন্ত্রাসী ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এর আগে দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় গাড়িচালক উমর নবীর জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। বিস্ফোরণের ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
জানানো হয়, কাশ্মীর, হরিয়ানা, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের একাধিক সংস্থা এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের সূত্রগুলো মেলাতে কাজ করছে। জম্মু-কাশ্মীরে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। গত বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের মেডিকেল কলেজের একজন অধ্যাপক, একজন ছাত্রসহ আরও দুজনকে উত্তর প্রদেশ থেকে আটক করা হয়েছে।