ভারতে এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু

আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে যে কেউ এইচ৩এন২ ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

ভারতে এইচ৩এন২ ভাইরাসজনিত ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের একজনের বাড়ি হরিয়ানায়, অন্যজনের কর্ণাটকে। এখন পর্যন্ত ভারতে প্রায় ৯০ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে করোনা–পরবর্তী সময়ে ভারতে প্রাণঘাতী এইচ৩এন২ ভাইরাস নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

কর্ণাটকের বাসিন্দা হাসান এইচ৩এন২ সংক্রমিত হয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনে ভুগছিলেন। ১ মার্চ ৮২ বছর বয়সী হাসানের মৃত্যু হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এইচ৩এন২ ভাইরাসে সংক্রমিত হয় মারা যাওয়া প্রথম ব্যক্তি হাসান।

অন্যদিকে গত বুধবার হরিয়ানার জিন্দে ৫৬ বছর বয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে। ৫৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। পরে তাঁর শরীরে এইচ৩এন২ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ভারতের সরকারি তথ্যমতে, ভারতে প্রায় ৯০ জনের শরীরে এইচ৩এন২ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর এইচ১এন১ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে মোট আটজনের শরীরে।

আরও পড়ুন

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আশা করছে, চলতি মাসের শেষের দিকে এইচ৩এন২ ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসতে পারে। ভাইরাসটির সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কয়েক মাস ধরে ভারতে অনেকে ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর বড় একটি কারণ এইচ৩এন২ ভাইরাসের সংক্রমণ। এ ভাইরাস ‘হংকং ফ্লু’ নামেও পরিচিত। অন্যান্য ফ্লুয়ের তুলনায় এতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার বেশি।

এইচ৩এন২ ও এইচ১এন১—দুটি ভাইরাসের লক্ষণ করোনার মতো। আক্রান্ত ব্যক্তিদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, চুলকানি, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। সপ্তাহখানেক এসব উপসর্গ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে যে কেউ এ ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে। তাই বিশ্বজুড়ে করোনা মাহামারি শেষ না হতে এ ভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

আরও পড়ুন

এইচ৩এন২ ও এইচ১এন১ ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের অ্যান্টিবায়োটিক না দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের আহ্বান জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। বলা হয়েছে, শুধু ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে তবেই রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে।