অন্যদিকে গত বুধবার হরিয়ানার জিন্দে ৫৬ বছর বয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে। ৫৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। পরে তাঁর শরীরে এইচ৩এন২ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ভারতের সরকারি তথ্যমতে, ভারতে প্রায় ৯০ জনের শরীরে এইচ৩এন২ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর এইচ১এন১ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে মোট আটজনের শরীরে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আশা করছে, চলতি মাসের শেষের দিকে এইচ৩এন২ ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসতে পারে। ভাইরাসটির সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কয়েক মাস ধরে ভারতে অনেকে ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর বড় একটি কারণ এইচ৩এন২ ভাইরাসের সংক্রমণ। এ ভাইরাস ‘হংকং ফ্লু’ নামেও পরিচিত। অন্যান্য ফ্লুয়ের তুলনায় এতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার বেশি।
এইচ৩এন২ ও এইচ১এন১—দুটি ভাইরাসের লক্ষণ করোনার মতো। আক্রান্ত ব্যক্তিদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, চুলকানি, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। সপ্তাহখানেক এসব উপসর্গ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে যে কেউ এ ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে। তাই বিশ্বজুড়ে করোনা মাহামারি শেষ না হতে এ ভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
এইচ৩এন২ ও এইচ১এন১ ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের অ্যান্টিবায়োটিক না দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের আহ্বান জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। বলা হয়েছে, শুধু ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে তবেই রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে।