কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সামনে গলায় ছুরি চালিয়ে ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা

কর্ণাটক হাইকোর্টফাইল ছবি: এএনআই

ভারতের কর্ণাটক হাইকোর্টের ভেতরে গতকাল বুধবার এক ব্যক্তি ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা করেছেন।

শ্রীনিবাস নামের এই ব্যক্তি রাজ্যের মহীশূরের বাসিন্দা। তিনি কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সামনে ছুরি দিয়ে নিজের গলা কেটে ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা করেন।

পুলিশ বলছে, আদালতকক্ষের প্রবেশপথে থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে একটি নথি (ফাইল) তুলে দেন শ্রীনিবাস। তিনি ভেতরে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি প্রধান বিচারপতি নিলয় বিপিনচন্দ্র আঞ্জারিয়ার সামনে নিজের গলায় ছুরি চালান।

এই দৃশ্য দেখামাত্র নিরাপত্তাকর্মীরা শ্রীনিবাসের কাছে ছুটে যান। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, শ্রীনিবাস কেন এমন কাজ করলেন, তা তাঁরা জানেন না। ঘটনাস্থলে কোনো চিরকুটও পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনার জেরে হাইকোর্টের ভেতরে নিরাপত্তার ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি নিলয় বিপিনচন্দ্র।

শ্রীনিবাস কীভাবে হাইকোর্টের ভেতরে একটি ধারালো বস্তু নিয়ে প্রবেশ করতে পারলেন, সে বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের খতিয়ে দেখতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি ঘটনাস্থল থেকে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

শ্রীনিবাস নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে যে নথিটি দিয়েছিলেন, তার বিষয়বস্তু জানা যায়নি।
কর্ণাটক হাইকোর্ট বলেছেন, নির্ধারিত আইনজীবী নথিটি আদালতে উপস্থাপন করেননি। তাই আদালত নথি যাচাই করবেন না।

শ্রীনিবাস কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। চিকিৎসকেরা তাঁকে কথা বলার মতো সুস্থ ঘোষণা করলে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করবে পুলিশ। এখন পুলিশ সে জন্য অপেক্ষা করছে।