অমর্ত্য সেনকে হেনস্তার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি চলছে

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে হেনস্তার প্রতিবাদে বিশ্বভারতীতে মিছিল হয়। ৭ মে
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেনকে জমি নিয়ে হেনস্তার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্টজনেরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে বিশ্বভারতীতে অমর্ত্য সেনের প্রতীচী বাসভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসেছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাসহ একদল বাউলশিল্পী এবং কলকাতার বুদ্ধিজীবী সমাজ। আজ রোববারও চলছে সেই শান্তিপূর্ণ অবস্থান।

গত জানুয়ারি মাসে হঠাৎ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অমর্ত্য সেনকে এক নোটিশ জারি করে বলে, তিনি বিশ্বভারতীর ১৩ শতাংশ জায়গা জোর করে দখলে রেখেছেন। ওই ১৩ শতাংশ জায়গা অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওই নোটিশ জারি করার পর বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠে রাজ্য রাজনীতি। যদিও বিশ্বভারতীর করা উচ্ছেদের মামলার কার্যক্রম গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিত করে দিয়েছেন।

গতকাল শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, চিত্রকর শুভা প্রসন্ন, চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী, সংসদ সদস্য অসিত মাল, প্রসূন ভৌমিকসহ তৃণমূলের নেতা–কর্মী ও বিধায়কেরা। গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিবাদ মঞ্চে কলকাতা থেকে হাজির হন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। বিশিষ্টজনেরা অভিযোগ তোলেন, এ ঘটনার পেছনে রয়েছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর হাত। তিনি বিজেপির প্রতিনিধি হয়ে বিশ্বভারতীতে কাজ করছেন। অমর্ত্য সেনকে হেনস্তা করার কাজে ব্রতী হয়েছেন।

সন্ধ্যায় কবীর সুমন একটানা কবিগুরুর প্রতিবাদী রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন দেড় ঘণ্টা। গানের আগে কবীর সুমন বলেন, ‘আমি বিশ্বভারতীর মাটিকে ভালোবাসি, সম্মান করি। বিশ্বভারতীর ক্ষতি হলে তাতে কার লাভ? এটা উপাচার্যকে বুঝতে হবে। বুঝতে হবে বিশ্বভারতীর আচার্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।’

অমর্ত্য সেনকে হেনস্তার প্রতিবাদে শুরু হওয়া অবস্থান আজও চলে। সেখান থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, মঙ্গলবার এ অবস্থান শেষ হবে।