নয়াদিল্লিতে চলন্ত ভ্যানে ২ ঘণ্টা ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

ধর্ষণপ্রতীকী ছবি

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ফরিদাবাদে ২৮ বছর বয়সী এক নারী চলন্ত ভ্যানে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পরে মধ্যরাতে তাঁকে চলন্ত গাড়ি থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার রাতে। ওই বিবাহিত নারী রাতে বাড়িতে যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন একটি ভ্যান তাঁর সামনে এসে থামে। ভ্যানে থাকা দুই তরুণ তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলে নেয়।

তবে ওই ভ্যান গাড়ি বাড়ির দিকে না গিয়ে গুরগাঁও রোডের দিকে চলতে শুরু করে।

অভিযোগ করা হয়েছে, ওই নারীকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ভ্যানের ভেতরে আটকে রাখা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে ক্রমাগত দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। তিনি বাধা দিলেও তারা শোনেনি। উল্টো তাঁকে হুমকি দেয়।

পরে সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এসজিএম নগরের রাজা চকের কাছে চলন্ত ভ্যান থেকে ওই নারীকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখমণ্ডলে মারাত্মক আঘাত লাগে এবং প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়।

আহত নারী তাঁর বোনকে ফোন করার চেষ্টা করেন। পরে তাঁর বোন যখন পাল্টা ফোন করেন, তখন তিনি পুরো ঘটনাটি জানান। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে তাঁর মুখে ১০–১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।

বর্তমানে ওই নারীর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তিনি প্রচণ্ড মানসিক আতঙ্কের মধ্যে আছেন। এখনো তাঁর আনুষ্ঠানিক জবানবন্দি রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগী নারীর বোন থানায় অভিযোগে জানান, ঘটনার আগের দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই নারী তাঁকে ফোন করেছিলেন। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে তিনি বাড়িতে ফিরে আসবেন।

ওই নারী বিবাহিত এবং তাঁর তিনটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক বিবাদের কারণে তিনি স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন।

পুলিশ অভিযুক্ত দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই ঘটনায় ব্যবহৃত ভ্যান গাড়িটও জব্দ করা হয়েছে।