কলকাতায় মুজিবনগর দিবস পালিত

মুজিবনগর দিবসের মূল আলোচনায় অংশ নেন কলকাতার প্রবীণ সাংবাদিক  সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত। কলকাতা, ভারত, ১৭ এপ্রিলছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের কলকাতায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। আজ বুধবার কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।

আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। সেই সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নামকরণ করা হয়।

মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী কার্যালয় ছিল কলকাতার ঐতিহাসিক থিয়েটার রোডের ৮ নম্বর বাড়িটি। এই বাড়িতে বসেই পরিচালিত হয়েছিল অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বাড়িটি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তুলে দেয় শ্রী অরবিন্দ আশ্রমকে। ১৯৭৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভবনটির যাত্রা শুরু হয় শ্রী অরবিন্দ ভবন হিসেবে।

মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশন এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সকালে উপহাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। উপহাইকমিশন চত্বরের মুজিব চিরন্তন মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপহাইকমিশনের কর্মকর্তাসহ বিশিষ্টজনেরা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। কলকাতা, ভারত, ১৭ এপ্রিল
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

এরপর উপহাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে শুরু হয় অনুষ্ঠান। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও  প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। দেখানো হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্যচিত্র ‘মুজিবনগর বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী’।

এরপরই শুরু হয় মুজিবনগর দিবস নিয়ে আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। মূল আলোচনায় অংশ নেন কলকাতার প্রবীণ সাংবাদিক  সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত। তিনি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের শুরুর প্রথম দিনের নানা স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। ওই দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগরে।

উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ স্বাধীন করার লড়াইয়ের নানা কথা। আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, এই ক্ষণজন্মা মানুষটির জন্ম না হলে বিশ্বের বাঙালিরা একটি নিজস্ব স্বাধীন দেশ পেত না।  

আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।