চীনের নেতৃত্বকে কি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে ভারত

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থান গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরতে অনেকটা আগ্রাসী কূটনীতির দিকে ঝুঁকছে বিকাশমান অর্থনীতির দেশ ভারত। মেরুকরণের এই সময়ে দেশটি আপসের চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং আমেরিকাকে এ বিষয়ে রাজি করাতে নাছোড় অবস্থান নিয়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ফাইল ছবি: রয়টার্স

পশ্চিমা দেশগুলোর ভূমিকায় হতাশ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এক দশকের বেশি সময় ধরে সাহায্য করে আসছে চীন। এ ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে দারিদ্র্যকে পেছনে ফেলে বেইজিংয়ের উত্থান। দেশটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপরবর্তী ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল; বিশেষ করে বাণিজ্য, ঋণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর জোর দিয়ে। এ জন্য চীন অতি প্রয়োজনীয় শত শত কোটি ডলার দরিদ্র দেশগুলোয় পাঠিয়েছিল।

পশ্চিম ও বাকি বিশ্বের সঙ্গে একমাত্র একটি দেশ সেতুবন্ধ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে, আর সেটা হলো ভারত।
কিশোর মাহবুবানি, সিঙ্গাপুরের সাবেক রাষ্ট্রদূত

কিন্তু ‘গ্লোবাল সাউথ’ তথা বৈশ্বিক দক্ষিণ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে এখন এশিয়ার আরেক বড় শক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়েছে চীন। নতুন আত্মবিশ্বাসী ভারত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ভিন্ন ধরনের নেতা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করছে।

পশ্চিমকে তার পথ পরিবর্তনে রাজি করানোর ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান মেরুকরণের বিশ্বে চীনের চেয়ে বড়, গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশ।

ভারতে জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছেন নেতারা
ছবি: এএফপি

জি-২০ সম্মেলন

৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় বড় অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে ভারত অপ্রত্যাশিতভাবে মতৈক্য তৈরিতে সক্ষম হয়। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে সুর নরম করতে রাজি করায় ভারত। উদ্দেশ্য ছিল, ফোরামটি যাতে বিশ্বব্যাপী ঋণ, জলবায়ু অর্থায়নসহ দরিদ্র দেশগুলোর উদ্বেগের ওপর জোর দিতে পারে। বৈশ্বিক দক্ষিণকে তুলে ধরার ব্যাপক প্রচারণার মধ্যে এখন পর্যন্ত নিজের সভাপতিত্বে সবচেয়ে দৃশ্যমান ফলও পেয়েছে ভারত। আর সেটা হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমান্তরাল সংগঠন হিসেবে আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি-২০-এর সদস্য করা।

সিঙ্গাপুরের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও ‘হ্যাজ চায়না ওন’ (চীন কি জিতেছে) বইয়ের লেখক কিশোর মাহবুবানি বলেন, বৈশ্বিক ব্যবস্থায় একটি কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটছে। পশ্চিমা বিশ্বের শক্তি কমছে। পশ্চিমা বিশ্বের বাইরে বৈশ্বিক দক্ষিণের অবস্থান ও প্রভাব বাড়ছে।

কিশোর মাহবুবানি আরও বলেন, পশ্চিম ও বাকি বিশ্বের সঙ্গে কেবল একটি দেশ সেতুবন্ধ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে, আর সেটা হলো ভারত।

চীন অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে ভারত বেইজিংয়ের সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যেমন উন্নয়ন অর্থায়ন, অবকাঠামো এবং বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে পাল্লা দিতে পারবে না।
এরিক ওল্যান্ডার, সম্পাদক, চায়না গ্লোবাল সাউথ প্রজেক্ট ওয়েবসাইট

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একধরনের নয়া স্নায়ুযুদ্ধ যখন প্রতিটি বৈশ্বিক আলোচনার ধরন ঠিক করে দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে, এমন একটি সময়ে ভারতের বক্তব্যের স্পষ্ট গুরুত্ব আছে।

যুক্তরাষ্ট্র কিংবা চীন—কেউই উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে বিশেষ প্রিয় কেউ নয়। যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সহায়তার চেয়ে সামরিক শক্তির দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য সমালোচিত। আর চীনের যোগাযোগের স্মারক হিসেবে দেখা হয় ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ অবকাঠামো প্রকল্পকে। কিন্তু অসহনীয় ঋণ পুনর্গঠন নিয়ে বেইজিং আলোচনায় বসতে না চাওয়ায় প্রবল নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। কারণ, এতে অনেক দেশ খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

এর বদলে ভারত যা প্রস্তাব করছে, তাতে আধিপত্যবাদী মানসিকতা এবং অর্থ বা প্রতিরক্ষার বিষয় তেমন যুক্ত নয়; বরং তারা সমর্থনমূলক বক্তৃতা, অভিযোগ শোনার মানসিকতা এবং বৈশ্বিক নীতি গঠনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বৈচিত্র্যময় করার অঙ্গীকারের কথা বলছে।

সুবিধাজনক অবস্থানে ভারত

পরাশক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে ভারতকে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এমনকি নিজেদের আশবাদী হিসাব অনুযায়ী, আগামী কয়েক দশকেও দেশটি উন্নত দেশের কাতারে শামিল হতে পারবে না। ভারতের কূটনৈতিক পদমর্যাদা দেশটির আয়তনের ক্ষুদ্র অংশবিশেষ হবে—এমন দেশগুলোর চেয়েও কম। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের হিন্দু জাতীয়তাবাদী অ্যাজেন্ডা ক্রমাগত অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।

কিন্তু ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে আর পশ্চিমারাও চীনকে মোকাবিলার জন্য মিত্র খুঁজছে। এ অবস্থায় নয়াদিল্লি নিজেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পেয়েছে। চীনের নেতা সি চিন পিং যখন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখন কেউ কেউ এটাকে প্রমাণ হিসেবে দেখেছিলেন যে বেইজিং বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে আর এতটা নতুন কাঠামো দিতে আগ্রহী নয়, যেখানে তাকে সরিয়ে অন্য কেউ আসবে; তার ওপর সূচনাটা করছিল ভারত।

সম্মেলনে ভারত সেতুবন্ধ স্থাপনকারী ও বন্ধুর ভূমিকায় আবির্ভূত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানোর সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হাত ধরে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যে ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট করতে সম্মেলনকে সামনে রেখে এবং সম্মেলনের ফাঁকে কয়েকটি বৈঠকে অংশ নেন দুজন। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করতে এমন প্রভাব তৈরি ছিল গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিন মোদি আফ্রিকান ইউনিয়নকে সদস্য করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কমোরোসের প্রেসিডেন্ট আজালি আসুমানিকে দীর্ঘ ও আন্তরিক আলিঙ্গন দিতে তিনি নিজের আসন থেকে ওঠে দাঁড়ান।

মোদির ব্যক্তিগত উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর এসব ছবি প্রেসিডেন্ট সির স্বাভাবিক দূরত্ব বজায় রেখে কুশলবিনিময়ের বৈপরীত্যকেই স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। অবশ্য শক্তিশালী প্রতিবেশীর সঙ্গে সরাসরি বিরোধে না জড়ানোর বিষয়ে সতর্ক ছিল নয়াদিল্লি। জি-২০-এর যৌথ ঘোষণার প্রতি সমর্থন জানানোয় চীনের প্রশংসা করেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

জি-২০ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ছবি: এএফপি

বরং ভারত তার প্রভাবের নিজস্ব যে ধরন, তার ওপর জোর দিয়েছে। নিজেদের অর্থনীতির পরিধি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশটি আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করেছে। একটি বিশাল ও সফল প্রবাসী জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ‘ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট’ নামের এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শতাধিক উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশের নেতাদের একসঙ্গে আলাপের সুযোগ তৈরি করে দেয় ভারত।

এই নেতাদের মোদি বলেন, ‘মানবসম্প্রদায়ের তিন-চতুর্থাংশ আমাদের দেশগুলোতে বাস করে।

আমাদেরও সমান বক্তব্য থাকা উচিত। বৈশ্বিক শাসনের পুরোনো ধারা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকাশমান এই ব্যবস্থাকে আমাদের নতুন রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত।’

এই ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনকে সলাপরামর্শ ঝালাই করে নেওয়ার অধিবেশন হিসেবে দেখা হয়। তবে এতে চীনের প্রতিও বার্তা ছিল। এতে চীনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জি-২০–এর অন্যান্য সদস্যদেশকেও।

আরও পড়ুন

‘চিন্তিত নয়’ বেইজিং

বেইজিং হয়তো এ নিয়ে আলাদা করে চিন্তিত নয়। চায়না গ্লোবাল সাউথ প্রজেক্ট ওয়েবসাইটের সম্পাদক এরিক ওল্যান্ডার বলেন, ‘চীন অবশ্যই ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করে, বিশেষ করে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নয়াদিল্লির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে। তবে বৈশ্বিক দক্ষিণের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে নয়।’

এরিক বলেন, চীন অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী, ভারত বেইজিংয়ের সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যেমন উন্নয়ন অর্থায়ন, অবকাঠামো এবং বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে পাল্লা দিতে পারবে না।

এই অবস্থানগত পার্থক্য ব্রিকসের সাম্প্রতিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় স্পষ্ট হয়েছে। ভারত ও চীন ছাড়াও ব্রাজিল, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা এই জোটের সদস্য। এমনকি মোদি বৈশ্বিক দক্ষিণের কণ্ঠস্বর হিসেবে ভারতকে তুলে ধরতে এক বছর সময় ব্যয় করার পরও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংই সেখানে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন।

একটি পার্শ্ববৈঠকের ভিডিওতে দেখা যায়, সি যখন করমর্দন করছিলেন, তখন মোদিসহ অন্য নেতারা অপেক্ষা করছিলেন। সি তাঁদের আসনের চেয়ে অনেক বড় আসনের একটি আস্ত সোফায় বসার পর পর্যন্ত তাঁরা দাঁড়িয়েই রইলেন।

ইউরেশিয়া গ্রুপের আফ্রিকা টিমের সিনিয়র বিশ্লেষক জিয়ান্ডা স্টুরম্যান বলেন, ‘টাকা কথা বলে। এটি ভারত হোক বা যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপ, যদি তারা তহবিল সরবরাহে চীনের সঙ্গে তাল মেলাতে বা ততটা আন্তরিক হতে না পারে, তবে নেতৃত্বের এই জায়গা উপভোগ করেই যাবে চীন।’

বেইজিং এ অবস্থান ছাড়তে চায় না। চীনের উত্থান ঠেকানোর উপায় হিসেবে পশ্চিমের দিকে নয়াদিল্লির ঝোঁক সম্পর্কেও বেইজিং সতর্ক থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে একধরনের নয়া স্নায়ুযুদ্ধ যখন প্রতিটি বৈশ্বিক আলোচনার ধরন ঠিক করে দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে, এমন একটি সময়ে ভারতের বক্তব্যের স্পষ্ট গুরুত্ব আছে।
আরও পড়ুন

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের সাম্প্রতিক এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলো বৈশ্বিক দক্ষিণকে বিভক্ত করতে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থানকে দুর্বল করতে ভারতকে ব্যবহার করতে চায়।

তবে এক বছর জি-২০-এর নেতৃত্ব দেওয়ার পর ভারত শক্তিশালী বৈশ্বিক দক্ষিণের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বেশ সেরা সময় উপভোগ করছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেছেন, সম্মেলনে তাঁদের এ সাফল্যে ভারতের পাশে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোরও অবদান রয়েছে; বিশেষ করে ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়ার।

কয়েক মাসের মধ্যে মোদি ও তাঁর দল আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের মুখোমুখি হবেন। গত রোববার বেশির ভাগ বিশ্বনেতা চলে যাওয়ার পর তিনি বিজয়ীর বেশে সম্মেলনের মিডিয়া সেন্টার ঘুরে দেখেন, ছিলেন নির্ভার।

মোদি সাংবাদিকদের কাছ থেকে কোনো প্রশ্ন নেননি। তিনি যাওয়ার আগপর্যন্ত তাঁদের অনুষ্ঠানস্থল থেকে যেতে দেওয়া হয়নি। তিনি কেবল হাসলেন এবং টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসনদের উদ্দেশে হাত নাড়লেন। আর ক্যাফেটেরিয়ার তরুণ কর্মীদের সঙ্গে সেলফি তোলার সময় বললেন, ‘দারুণ’!

অনুবাদ: মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম

আরও পড়ুন