ভারতের ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে নেপালে দুশ্চিন্তা

‘অগ্নিপথ’–এর আওতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য নিবন্ধন করতে লাইন দাঁড়িয়ে আছেন আগ্রহীরা। সুরানকোট, জম্মু ও কাশ্মীর ১২ জুলাই
ছবি: এএনআই

বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারে ভারত সরকারকে যাঁরা বাধ্য করেছিলেন, সেই কৃষকসমাজ এবার অবসরপ্রাপ্ত সেনানীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। ৭ আগস্ট থেকে এক সপ্তাহের এই আন্দোলন কর্মসূচি যৌথভাবে ঘোষণা করে ‘সংযুক্ত কিষান মোর্চা’ ও ‘ইউনাইটেড ফ্রন্ট অব এক্স সার্ভিসমেন’ বলেছে, কৃষক পরিবাররাই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমৃদ্ধ করেছে। ‘অগ্নিপথ’ হবে তাদের দুর্দশার কারণ।

কিন্তু এই আন্দোলন নয়, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিন্তিত নেপালের সঙ্গে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গতি–প্রকৃতি নিয়ে। ৭৫ বছর ধরে ভারতীয় বাহিনীতে নেপালি গোর্খারা স্থায়ী চাকরি করছেন। এবার থেকে সেই নিযুক্তি হবে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প অনুযায়ী। তাতে নেপালের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। নেপাল তো বটেই, ভারতেও বিভিন্ন মহলে বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। আশঙ্কা, অগ্নিপথ দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট তো করবেই, প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকেও নেপালে প্রভাব বিস্তারে নতুনভাবে উৎসাহিত করবে।

‘অগ্নিপথ’ ও নেপাল

ভারতীয় বাহিনীর ‘সংস্কারের স্বার্থে’ গত জুন মাসে অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রকল্প অনুযায়ী সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সীদের স্বল্প মেয়াদের প্রশিক্ষণ শেষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে চার বছরের জন্য জওয়ান হিসেবে নিয়োগ করা হবে। তাঁদের ডাকা হবে ‘অগ্নিবীর’ নামে। চার বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে ২৫ শতাংশ উপযুক্ত ‘অগ্নিবীর’ পাকাপাকিভাবে বাহিনীতে নিযুক্ত হবেন। বাকি ৭৫ শতাংশকে বিদায় জানানোর সময় দেওয়া হবে প্রায় ১২ লাখ রুপি, ভবিষ্যৎ পাথেয় হিসেবে। অগ্নিবীরদের মাসিক বেতন থেকে একটি পরিমাণ টাকা কাটা হবে, সমপরিমাণ টাকা দেবে সরকার। চার বছরে সেই টাকা সুদ–আসলে হবে প্রায় ১২ লাখ। ওই টাকা করযোগ্য নয়।

প্রথাগত স্থায়ী নিযুক্তির বদলে চুক্তিভিত্তিক ‘অগ্নিপথ’ চালুর কারণ হিসেবে ঘোষিত সরকারি যুক্তি, জওয়ানদের গড় বয়স কমিয়ে সক্ষমতা বাড়ানো। এই মুহূর্তে বাহিনীর গড় বয়স ৩২। অগ্নিপথ কমিয়ে করবে ২৬। অঘোষিত কারণ, পেনশন ও অবসরকালীন বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধার দরুণ সরকারের বিপুল আর্থিক বোঝা হালকা করা। প্রথম বছরে ৪৬ হাজার অগ্নিবীর নেওয়া হবে। সে জন্য ভারতে তিন বাহিনীর নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ২৫ তারিখ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর নেপালে দুই পর্যায়ে ভর্তি শিবির খোলার কথা।

ভারত, নেপাল ও ব্রিটেনের মধ্যে ১৯৪৭ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, নেপালি গোর্খাদের ভারত ও ব্রিটেনের বাহিনীতে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিভিন্ন সময়ে দুই দেশের বিভিন্ন মহলের ওজর–আপত্তি সত্ত্বেও নিরবচ্ছিন্নভাবে এই নিয়োগ প্রথা চলে আসছে।

সম্পর্ক, অর্থনীতি ও আশঙ্কা

কোভিড–পূর্ববর্তী পরিস্থিতিতে প্রতিবছর ১৩০০ থেকে ১৫০০ নেপালি গোর্খা ভারতীয় বাহিনীতে চাকরি পেয়েছেন। এবার কতজন নেওয়া হবে এখনো অজানা। ভারতীয় বাহিনীতে স্থায়ী চাকরি করা নেপালি গোর্খারা পেনশন, অবসরকালীন ভাতা ও ক্যানটিনসহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করে আসছেন। ১৯৪৭ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত যে কোনো সময়ে ভারতীয় বাহিনীতে নেপালি জওয়ানদের উপস্থিতিও ৩২ থেকে ৩৫ হাজারের মতো। ভারতীয় ও নেপালি গোর্খাদের নিয়ে গঠিত ৭টি গোর্খা রেজিমেন্টে রয়েছে মোট ৪৩টি গোর্খা ব্যাটালিয়ন।

নেপালের সাংবাদিক ‘দেশসঞ্চার ডট কম মাল্টিমিডিয়ার’ সম্পাদক যুবরাজ ঘিমিরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইতিহাস, ধর্মীয় সাযুজ্য, ভৌগোলিক নৈকট্য, ব্যবসা–বাণিজ্য ও আত্মিক আদান–প্রদান ছাড়াও ভারতের সঙ্গে নেপালের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের এক বড় স্তম্ভ এই নেপালি সেনানীরা। অবসর গ্রহণ করা এই জওয়ানদের বর্তমান সংখ্যা কমবেশি ১ লাখ ৩২ হাজার। এই পরিবারগুলোর কাছে ভারতের সম্মান ও মর্যাদা আজও অটুট।’ একই মনোভাব একদা নেপালে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রবীণ কূটনীতিক দেব মুখোপাধ্যায়েরও। প্রথম আলোকে তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন আমি জওয়ান নিযুক্তি কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেছি। দেখেছি ভারতের প্রতি তাঁদের কী অসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। ভারতীয় বাহিনীর সদস্য হতে পারায় কতটা গর্বিত। অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কোনো প্ররোচনা তাঁদের মনে ভারতের অবস্থান টলাতে পারেনি। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সমর্থন নষ্ট হয়নি। ভারতবিরোধী শক্তির মোকাবিলায় বারবার তাঁরা দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছেন। এঁরাই দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্কের অন্যতম প্রধান খিলান।’

সম্পর্কের সেই বজ্র আঁটুনি আলগা হওয়ার আশঙ্কা এখন বড় হতে শুরু করেছে ‘অগ্নিপথ’–এর দরুন। নতুন এই প্রকল্প নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নেপাল এখনো কোনো বিরূপ মন্তব্য করেনি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা লক্ষ করলেও একাংশের শঙ্কা–মিশ্রিত মনোভাব সম্পর্কে সজাগ। সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে লেখালেখি শুরু হয়েছে। আলোচনা চলছে। সেমিনার হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যম মুখর। ২৫ জুলাই নেপালের পার্লামেন্টে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভীম রাওয়াত বলেছেন, অগ্নিপথ নিয়ে নেপালের সঙ্গে ভারত আলোচনাই করেনি। প্রকল্প রূপায়ণের কথাও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। এটা ১৯৪৭ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পরিপন্থী। সরকারকে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করতে বলেছেন। এই বিষয়ে যুবরাজ ঘিমিরে বলেন, ‘প্রকল্প নিয়ে আগাম আলোচনা বাধ্যতামূলক না হলেও সুসম্পর্কের খাতিরে নেপাল আশা করেছিল, ভারত তাদের সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু তা হয়নি। নেপালের কাছে এটা হতাশজনক।’ তিনি বলেন, অগ্নিপথ প্রকল্প ভবিষ্যতে নেপালের অর্থনীতির ওপর এক প্রবল ধাক্কা হতে চলেছে।

একই অভিমত অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল গোপাল গুরুংয়েরও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে নেপালি এই সেনানীর সম্পর্ক তিন পুরুষের। তাঁর দাদা ও বাবা ভারতীয় বাহিনীতে ছিলেন। পঞ্চম গোর্খা রেজিমেন্টের এই সাবেক মেজর জেনারেল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘বাধ্যতামূলক না হলেও সম্পর্কের ধারাবাহিকতার খাতিরে ভারত কথা বলতেই পারত। বিদ্যমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেও এটা হওয়া জরুরি ছিল।’ তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালের চুক্তি তো অনেক পরের কথা। নেপালি গোর্খাদের সঙ্গে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির সম্পর্কের শুরু ১৮১৫ সাল থেকে। সেই অর্থে এই সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। এই পরিকল্পনা সেই সম্পর্কই শুধু নষ্ট করবে তা নয়, আর্থিকভাবেও নেপালকে ক্ষতির মুখে দাঁড় করাবে।’

অগ্নিপথের প্রতিক্রিয়া ও চীনের আগ্রহ

ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অশোক মেহতা এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিশেষ চিন্তিত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মেজর জেনারেল মেহতা উত্তর–পূর্ব বাংলাদেশের পীরগঞ্জ ও বগুড়ায় ২/৫ গোর্খা রাইফেলসের (ফ্রন্টিয়ার ফোর্স) নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, নেপালের বার্ষিক আয়ের ২ শতাংশ সরাসরি ভারতীয় বাহিনীর অবদান। ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প তাতে ক্ষয় ধরাবে এই আশঙ্কা নেপালে ছড়িয়ে পড়েছে। তারা এখনো ‘অগ্নিবীর’ নিযুক্তির শিবিরের অনুমোদন দেয়নি। বরং বলেছে, বিষয়টির আইনগত দিক তারা খতিয়ে দেখছে। জেনারেল মেহতা বলেন, ২০১৪ সালের অবরোধের পর থেকে নেপালে ভারতবিরোধী শক্তি প্রবলভাবে সক্রিয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সফরের পর পরিস্থিতির কিছুটা বদল ঘটতে শুরু করেছে। কিন্তু অগ্নিপথ তাতে বাদ সাধতে পারে। জেনারেল মেহতা মনে করেন, ‘ভারতপন্থী নেপালি গোর্খা সমাজ দুর্বল হলে চীন অত্যুৎসাহী হবেই। সরকারের উচিত এই দিকটি গভীরভাবে বিবেচনা করা।’

অগ্নিপথ নেপালের আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে নানা মহলে চিন্তাভাবনা চলছে। ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের (আইডিএসএ) গবেষক স্মৃতি পট্টনায়ক মনে করেন, ‘যেকোনো নতুন প্রকল্প ঘিরে শুরুতে সব সময় কিছুটা সংশয় ও সন্দেহ দানা বাঁধে। এ ক্ষেত্রেও কিছু প্রশ্ন হয়তো উঠছে। দুই দেশের সরকার নিশ্চয় সেই বিষয়ে মনোযোগী হবে।’ প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘নতুন নিযুক্তিপ্রক্রিয়া শুরু হলেই বোঝা যাবে প্রকল্পটি ঘিরে কী ধরনের সাড়া জাগবে। নেপাল নিয়ে চীনের আগ্রহের কথা ভারতের অজানা নয়। ভারত নিশ্চিতভাবেই সেই বিষয়ে সজাগ।’ মেজর জেনারেল (অব.) গোপাল গুরুং এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পাকা চাকরির নিশ্চয়তা ও পেনশন না থাকায় এই প্রকল্প সেরা ও যোগ্য নেপালি গোর্খাদের কতটা উৎসাহী করবে, সে বিষয়ে আমি সন্দিহান। আমার আশঙ্কা সত্য হলে ভারতীয় বাহিনীরই ক্ষতি।’ তিনি বলেন, সামাজিক দিক থেকে নেপালি সমাজে এই নীতির প্রভাব বোঝা যাবে ২০২৭ সালে, যখন ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীর ছাঁটাই হবেন। নেপালে ভারতের বিরুদ্ধে সামাজিক অসন্তোষ দেখা দিলে সব সময় সবচেয়ে খুশি হয় চীন। মনে রাখা দরকার, তারা যেকোনো সুযোগের সদ্ব্যবহারের জন্য মুখিয়ে আছে।

অর্থনীতি, নীতিগত প্রশ্ন এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা

সরকারি হিসেব অনুযায়ী, নেপালি গোর্খাদের বার্ষিক পেনশনের পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার কোটি রুপি। এ ছাড়া ভারতীয় বাহিনীতে কর্মরত নেপালি গোর্খারা বছরে প্রায় এক হাজার কোটি রুপি দেশে পাঠান। অগ্নিপথ কার্যকর হলে অর্থের এই জোগান ক্রমেই কমে আসবে। ফলে নেপালের অর্থনীতির ওপর পড়বে প্রবল চাপ। নেপালে নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত রণজিৎ রাইয়ের মতে, ‘আর্থসামাজিক প্রভাব নেপালে কতটা পড়বে এখনই অনুমান করা কঠিন। তবে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া বোঝাচ্ছে তারা খুবই হতাশ। ওই দেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য চরমে। ভারতীয় বাহিনীর আর্থিক নিরাপত্তার আকর্ষণ তাদের কাছে তাই প্রবল। সেই নিশ্চয়তা আর থাকবে না বলেই তারা হতাশ।’

বিষয়টির সঙ্গে নীতিগত প্রশ্নও জড়িত। ভারতীয় বাহিনীতে বিদেশিদের যোগ দেওয়া সংগত কি না সেই প্রশ্ন ভারত ও নেপাল দুই দেশেই উঠেছে। দেব মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রশ্নটা জওহরলাল নেহরুর মনেও উঁকি মেরেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা তিনি মেনে নিয়েছিলেন। নেপালেও এই প্রশ্ন উঠেছে। মাওবাদীরা তুলেছেন। বন্ধুপ্রতিম চীন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে নেপালি গোর্খাদের লড়াই করার নৈতিকতা ও যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও মেজর জেনারেল (অব.) গোপাল গুরুং মনে করেন, আপত্তিটা রাজনৈতিক। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০২০ সালে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গাওয়ালি ১৯৪৭ সালের চুক্তিকে ‘অনাবশ্যক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এখন দুই দেশেই এমন একটা ভাবনা মাথাচাড়া দিচ্ছে যে সংস্কারের নামে ভারত হয়তো বাহিনীর বিশালত্ব ধীরে ধীরে কমিয়ে প্রযুক্তিগত উন্নতিতে মনোনিবেশ করার পথে এগোচ্ছে।

আট বছর আগে নেপালের পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারত এমন কোনো যুদ্ধ লড়েনি যেখানে নেপালি গোর্খাদের রক্ত ঝরেনি। অগ্নিপথের মধ্য দিয়ে ২০৭ বছরের সেই ঐতিহ্যময় ধারাবাহিকতার ক্রমাবসানের আশঙ্কা মাথাচাড়া দিচ্ছে।