পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রামে ভোটের আগে সহিংসতা, নিহত ১

নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করে বিজেপি
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

শনিবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোট। এর আগে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম। বিজেপির অভিযোগ, বুধবার গভীর রাতে নন্দীগ্রামে তাদের নারী কর্মী রতিবালাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন।

নন্দীগ্রাম তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেখানে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এই নন্দীগ্রামে সিপিআইএমের শিল্পায়নের বিরোধিতা করে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আন্দোলনের জেরে ২০১১ সালে বামফ্রন্টকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল।

বিজেপির দাবি, বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের পার্শ্ববর্তী সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজার এলাকায় পাহারা দিচ্ছিলেন তাদের সমর্থকেরা। এমন সময় মোটরসাইকেলে এসে তৃণমূলের একদল দুষ্কৃতী তাঁদের ওপরে হামলা করে। তারা রতিবালাকে এলোপাতাড়ি কোপায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন তাঁর ছেলে সঞ্জয়ও। এ ঘটনায় সাতজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে দুজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে তমলুক হাসপাতালে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করে বিজেপি। এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান রাজ্যসভায় বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নন্দীগ্রাম থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দোকানপাট ও গাড়ির টায়ারে আগুন দেওয়া হয়। আগুন ধরানো হয় রাস্তার পাশে রাখা খড়ের গাদায়। অবরোধ তুলতে এসে বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।

নন্দীগ্রামে অস্থিরতার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। তবে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।