মণিপুরে চার পুলিশকে অপহরণের ঘটনায় মেইতেই সংগঠনের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

ভারতের সেনাবাহিনী ও মণিপুর পুলিশ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সম্প্রতি যৌথভাবে অভিযান চালায়। রাজ্যের কাংপোকপি এলাকাছবি: এএনআই

ভারতের মণিপুর রাজ্যে পুলিশ মেইতেই চরমপন্থী গোষ্ঠীর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। আরামবাই টেঙ্গোল নামের মেইতেই চরমপন্থী গোষ্ঠীর সংগঠনের সদস্যরা গত শনিবার চার পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ সোমবার মণিপুর পুলিশ এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি হলেন ইম্ফল পূর্ব জেলার বাসিন্দা তাইবাঙ্গানবা সানোজাম (২৫) এবং চুরাচাঁদপুর জেলার মইরাংথেম বোবো (৪০)। তাঁরা পুলিশের অপহরণ ও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। ওই পুলিশ সদস্যদের  এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।

গত শনিবার কর্তব্যরত চার পুলিশ সদস্য ইম্ফল থেকে কাংপোকপি থানায় ফেরার সময় তাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল। ইম্ফল পূর্বের কোইরেঙ্গেই জাতীয় সড়ক-২ বরাবর ওই দিন দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ঘটনাটি ঘটে। চোখ বেঁধে অস্ত্রধারীরা পুলিশ সদস্যদের জঙ্গলের দিকে নিয়ে মারধর করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, ওই পুলিশ কর্মীদের সবাই কাংপোকপি জেলার থানায় নিযুক্ত ছিলেন। গতকাল রোববার দুপুর নাগাদ ইম্ফল পশ্চিমের খংহাম্পট এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। চারজনের মধ্যে তিনজন নেপালি এবং অন্যজন মুসলিম।

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন ভীরেন সিং বলেছেন, অপহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনমতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

তবে মেইতেই সম্প্রদায়ের এই চরমপন্থী সংগঠনের বাড়বাড়ন্তের মানবাধিকার ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মীরা এক বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করে আসছেন। অর্থ ও অস্ত্র দুই-ই আরামবাই টেঙ্গোলের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা আংশিকভাবে রাজ্যে প্রশাসনের পাশাপাশি একটি সমান্তরাল ক্ষমতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রায় প্রতি মাসেই আরামবাই টেঙ্গোল কোনো না কোনো ঘটনা ঘটাচ্ছে, যার কারণে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার দুই পক্ষকেই অপদস্থ হতে হচ্ছে বলে স্থানীয় মানুষ মনে করছেন।