নূপুরের বিরুদ্ধে সব এফআইআর তদন্ত করবে দিল্লি পুলিশ

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যসংক্রান্ত সব এফআইআর দিল্লি পুলিশকে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নূপুর শর্মা এক টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে গত ২৬ মার্চ ওই অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। সেই নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাঁর বিরুদ্ধে বহু এফআইআর দাখিল করা হয়েছিল। সেগুলো একত্র করে দিল্লিতে শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন নূপুর। গত বুধবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও জেবি পর্দিওয়ালা এই নির্দেশ দেওয়ার সময় আবেদনকারীর জীবনহানির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেন।

নূপুরের মন্তব্য নিয়ে দেশ-বিদেশে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছিল। বিজেপি তাঁকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করতে বাধ্য হয়। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই মন্তব্য অনভিপ্রেত। সরকার সব ধর্মকে সমান চোখে দেখে। অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য এরপর নূপুরকে বিভিন্ন মহল থেকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। তাঁর মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে সমর্থন করায় রাজস্থান ও কর্ণাটকে দুজনকে হত্যাও করা হয়। এই পরিস্থিতিতে নূপুর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান সব এফআইআরের শুনানি একত্র করে দিল্লিতে করানোর। সেই আবেদন মেনে বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছে, সব এফআইআর দিল্লি পুলিশকে হস্তান্তর করতে হবে।

বিচারপতি সূর্যকান্ত ও পর্দিওয়ালার এজলাস এর আগে এ ধরনের মন্তব্যের দরুন নূপুরকে তিরস্কার করে বলেছিলেন, তিনি একাই সারা দেশে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন। যা কিছু ঘটছে, তার জন্য তিনি একাই দায়ী। এই বেঞ্চই আবার নিরাপত্তার স্বার্থে নূপুরকে স্বস্তি এনে দিলেন।

বিচারপতি সূর্যকান্ত ও পর্দিওয়ালা কিছুদিন আগে ‘অল্ট নিউজ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মুহম্মদ জুবেইরকেও এভাবে স্বস্তি দিয়েছিলেন। হিন্দু দেবদেবীর প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের অভিযোগে জুবেইরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে এফআইআর দাখিল করা হয়েছিল। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। প্রায় এক মাস পর সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে তিনি মুক্তি পান। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব অভিযোগও দিল্লি পুলিশ তদন্ত করবে।