পশ্চিমবঙ্গের ২৫ হাজার শিক্ষক–কর্মচারী আপাতত চাকরি হারাচ্ছেন না: সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দেওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ শিক্ষক ও কর্মচারী আপাতত চাকরি হারাচ্ছেন না। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এ–সংক্রান্ত এক অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আগামী ১৬ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। তবে কে কে ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন, তা তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (সিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দেওয়া প্রায় ২৬ হাজার মানুষের চাকরিকে অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিলের আদেশ দেন কলকাতা হাইকোর্ট। সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কাল সোমবার ও আজ— দুই দিন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদনের শুনানি হয়।

শুনানিতে আদালত বলেন, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের তদন্ত অব্যাহত থাকবে। তদন্তের স্বার্থে সিবিআই যে কাউকে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। তবে আপাতত বেতন ফেরত দিতে হবে না। তবে মুচলেকা দিয়ে বলতে হবে যে তদন্তে অযোগ্য প্রমাণিত হলে বেতনের সব অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। ঘুষের বিনিময়ে ৮ হাজার ৩২৪ শিক্ষক চাকরি পেয়েছেন।

২০১৬ সালে চাকরির জন্য ৩০ লাখ আবেদন জমা পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক বা শিক্ষিকা এবং গ্রুপ সি ও ডি শ্রেণিভুক্ত আবেদনকারীদের মধ্যে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনকে নিয়োগ দেয়।

অভিযোগ আছে যে এই নিয়োগপ্রক্রিয়া ছিল সম্পূর্ণ জালিয়াতিতে ভরা। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে এই চাকরি বিক্রি করেন রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা ও তৃণমূলের নেতারা। ফলে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন, তাঁদের বঞ্চিত করে চাকরি দেওয়া হয় ঘুষের বিনিময়ে।

আরও পড়ুন