উত্তর প্রদেশে ভালুকের বেশে মাঠে নামছেন কৃষকেরা
পশুপাখির হানা থেকে ফসল বাঁচাতে খেতে কাকতাড়ুয়ার ব্যবহার হরহামেশাই দেখা যায়। তবে ফসল রক্ষায় এ কৌশল অনেক সময় কাজে আসে না। তাই বিচিত্র এক পথ বেছে নিয়েছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের লাখিমপুর খারির কৃষকেরা। বানরের উপদ্রব থেকে আখখেত রক্ষায় ভালুক সেজে নিজেরাই মাঠে নামছেন তাঁরা।
ভালুকের বেশে কৃষকদের একাধিক ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, কালো রঙের লোমশ সাজসজ্জায় নিজের শরীর মুড়িয়ে নিচ্ছেন লাখিমপুর খারির এক কৃষক। মুখে পরছেন ভালুকের মতো দেখতে মুখোশ। এরপর নেমে পড়ছেন আখখেতে। বানর তাড়াতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাহারা দিচ্ছেন সেখানে।
এই কৃষকদের একজন গাজেন্দর সিং। তিনি বলেন, এই এলাকায় ৪০–৪৫টি বানর রয়েছে। ফসলের খেতে সেগুলোর উপদ্রব নিয়ে বহুবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে তারা কর্ণপাত করেনি। তাই বাধ্য হয়ে কয়েকজন কৃষক মিলে ভালুকের মতো সাজসজ্জা কিনেছেন। এই সাজসজ্জার দাম পড়েছে ৪ হাজার রুপি।
ইন্টারনেটে কৃষকদের এই ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অবশ্য টনক নড়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের। লাখিমপুর খেরির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সঞ্জয় বিশওয়াল বলেছেন, ‘আমি কৃষকদের আশ্বস্ত করে বলছি, ফসলের মাঠে বানরের হামলা ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে কৃষকদের দুর্দশা দেখে ইন্টারনেটে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই তাঁদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। টুইটারে একজন লিখেছেন, ‘বানরের হামলার কারণে প্রতিবছর ফসলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। এ সমস্যার আরও ভালো সমাধান আমাদের দরকার।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘বানর তাড়াতে কেউ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালুক সেজে বসে আছেন, এটা আশ্চার্যজনক!’
কৃষকদের ভালুক সাজতে দেখে মজা করতেও ছাড়েননি কেউ কেউ। যেমন একজন মজা করে বলেছেন, ‘উত্তর প্রদেশ আর সেখানের মানুষের কৌশল। কিছু সময় আগেও সেখানের পুলিশ গুলি করার বদলে “দুম দুম” বলে আওয়াজ করত।’