চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ, আরজি কর ধর্ষণ-হত্যা মামলার শুনানি ২৭ সেপ্টেম্বর
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের আন্দোলনে রাশ টানতে আয়োজিত বৈঠক আবারও ব্যর্থ হয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সব দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন ও কর্মবিরতি চলবে।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে একজন শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘিরে পশ্চিমবঙ্গ, বিশেষ করে কলকাতায় তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা।
আন্দোলন অবসানের পথ খুঁজে পেতে আলোচনার জন্য গতকাল জুনিয়র চিকিৎসকদের ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের সভাঘরে বৈঠক করে। রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ ও টাস্কফোর্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে।
বৈঠক শেষে গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে তাঁরা বলেন, দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার কোনো নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না পাওয়ায় তাঁদের কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে। তাঁরা সম্মানজনকভাবে কর্মবিরতি তুলে নিতে চান, কিন্তু সরকার তা না মানায় তাঁরা তাঁদের আন্দোলন জারি রাখবেন, চলবে কর্মবিরতি।
এর আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠকে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (নর্থ) অভিষেক গুপ্ত, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশীষ হালদার এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেন মমতা।
কিন্তু আন্দোলনকারীরা এখন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ, জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য আলাদা বিশ্রামের ঘর, শৌচাগার, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, বিভিন্ন হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করা, প্রতিটি অনকল রুমে ‘প্যানিক বাটন’ স্থাপন, নারী নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগসহ আরও বেশ কিছু দাবি তুলেছেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার আরজি কর ধর্ষণ-হত্যা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চতুর্থ দফার শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন এই ডিভিশন বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র। সুপ্রিম কোর্ট ২৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।