বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজন আসামে গ্রেপ্তার

আসাম পুলিশের লোগোছবি: এএনআই

ভারতের আসাম রাজ্যের পুলিশ গতকাল সোমবার গুয়াহাটি রেলস্টেশন থেকে বাংলাদেশের নিষিদ্ধঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) দুই সন্দেহভাজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এই দুই ব্যক্তি হলেন বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার বাসিন্দা বাহার মিয়া (৩০) ও রাসেল মিয়া (৪০)। তাঁরা গুজরাট থেকে গুয়াহাটি হয়ে শিলচর যাচ্ছিলেন বলে পুলিশের বক্তব্য।

আসাম পুলিশের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিপিআরও) প্রণব জ্যোতি গোস্বামীর দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামে একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিতে এই দুজন অবৈধভাবে পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে অবস্থান করছিলেন। তাঁরা ভারতীয় নথিপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। পুলিশ দুই ব্যক্তির কাছ থেকে আধার কার্ড, আয়কর-বিষয়ক পরিচয়পত্র প্যান কার্ডসহ বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে।

আসাম পুলিশের দাবি, এই দুই ব্যক্তি আসাম ও ভারতের মুসলিম তরুণদের সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দিতে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করতে গুয়াহাটি এসেছিলেন।

আসাম পুলিশ জানায়, ভারতীয় দণ্ডবিধির অপরাধবিষয়ক ষড়যন্ত্র ও ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো-সম্পর্কিত দুই ধারা ছাড়াও বিভিন্ন নথি, পাসপোর্ট জালিয়াতি এবং বেআইনি কার্যকলাপ-সম্পর্কিত ধারায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতের বিশেষ সন্ত্রাস দমন আইন ইউএপিএতেও মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পক্ষে তাঁদের আইনজীবী বা পরিবারের সদস্যদের কোনো বিবৃতি এখনো প্রকাশ্যে আসেনি। অতীতে দেখা গেছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় অনেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। আসাম পুলিশ অতীতে দাবি করেছে, গ্রেপ্তার সন্ত্রাসীরা জিহাদ-সম্পর্কিত পুস্তিকা এবং ভিডিও আসামের তরুণদের মধ্যে বণ্টন করেছে।

এবিটি-এ বাংলাদেশে আল-কায়েদার দক্ষিণ এশীয় শাখা আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের (একিউআইএস) সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ধারণা করা হয়। ২০১৪ সালে গঠিত একিউআইএস উপমহাদেশে, বিশেষত পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে সক্রিয় বলে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ–বিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের তথ্যে উঠে এসেছে।

অন্যান্য মহাদেশ, যেমন আফ্রিকায় আল-কায়েদার শাখা সংগঠন হারকাতুল জিহাদ যতটা সক্রিয়, ভারতে বা বাংলাদেশে ততটা নয়। তবে একিউআইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত তেহরিক-ই-তালিবান, পাকিস্তান এই মুহূর্তে পাকিস্তানে প্রবল সক্রিয়।