কলকাতার বেহালায় আয়োজিত সভামঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ১৪ আগস্ট
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। সোমবার এই মামলাটি করেছেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির আইনজীবী দলের সদস্য আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।

মামলার আবেদনকারী বলেছেন, ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসেন। ২০১৩ সাল থেকে মমতার পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি হুহু করে বাড়তে থাকে। একই বছর পশ্চিমবঙ্গে চাঞ্চল্যকর সারদা আর্থিক কেলেংকারির কথা ফাঁস হয়। তখন থেকে মমতার পরিবারের সম্পত্তি অস্বাভাবিক বেড়েছে।

সোমবার ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। কলকাতার মেয়ো রোডে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানস্থল থেকে মমতা জানতে পারেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অভিযোগ তুলে বিজেপির একজন আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন।

অনুষ্ঠানস্থল থেকে এর প্রতিক্রিয়ায় মমতা বলেন, ‘আমি দুই যুগ ধরে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্য পেনশনের অর্থ নেই না। আমার মুখ্যমন্ত্রীর হিসাবে প্রাপ্য সাড়ে তিন লাখ রুপির বেতনও নেই না। আমি বিজনেস ক্লাস ছাড়া বিমানে কখনো উঠি না। আজ আমার নিজের বলতে কিছুই নেই। ভাড়া বাড়িতে থাকি। মা–বাবা, ৬ ভাই ও দুই বোন নিয়ে আমাদের পরিবার ছিল। মা থকতেন আমার সঙ্গে। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে আমি একা থাকি। আমরা সব ভাইবোন পৃথক জায়গায় বাস করি। পরিবারের অন্য সদস্যদেরর সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ নেই। কেবল উৎসবেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা হয়। তাই বলছি আমার নিজের বলতে কিছু নেই।’