পূর্ব মণিপুরে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে প্রবল সংঘর্ষ

মণিপুরে সংঘর্ষের পর নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল। এএফপি ফাইল ছবি

উত্তর–পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুরের টেংনুপাল জেলার পাল্লেল এলাকা থেকে আজ শুক্রবার নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্র লোকদের মধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আজ এ তথ্য জানিয়েছেন। পূর্ব মণিপুরের টেংনুপাল জেলার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে।

কর্মকর্তাদের মতে, সকাল ছয়টা নাগাদ গোলাগুলি শুরু হয়। দুপুরেও বিরতিহীনভাবে গোলাগুলি চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আহত বা হতাহতের খবর নেই বলে জানানো হয়েছে। গোলাগুলি শুরু হওয়ার পরে মেইরা পাইবেই নামের মেইতেই মহিলা সংগঠনের সদস্যরা রাস্তা অবরোধ করেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী রুটমার্চ করছে।

গত বুধবার বিষ্ণুপুর জেলার ফৌগাকচাও ইখাইতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে তোরবুং অঞ্চলে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছানোর চেষ্টা করলে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের জমায়েত ভেঙে দেয়। এ ঘটনার দুই দিন পরে আবার হামলা শুরু হয় পার্শ্ববর্তী টেংনুপালে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার ওই অঞ্চলে প্রবল উত্তেজনা ছিল। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স, আসাম রাইফেলস এবং মণিপুর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মণিপুরের পাঁচটি উপত্যকা জেলায় সম্পূর্ণ কারফিউ জারি করা হয়।

চলতি বছরের ৩ মে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক শতাধিক আহত হয়েছেন। তফসিলি উপজাতি হিসেবে মর্যাদার দাবিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলোতে একটি ‘উপজাতি সংহতি মার্চ’ সংগঠিত হয়েছিল। সেখান থেকেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।