বায়ুদূষণের কারণে সন্তানকে দিল্লিতে পড়াবেন না মা–বাবা

২০২১ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহর ছিল দিল্লি। গত কয়েক বছরে ভারতের রাজধানী শহরটি নিয়মিতই বায়ুদূষণে শীর্ষে উঠেছেছবি: এএফপি

দেশসেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেতে বছরজুড়ে কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন ভারতের চণ্ডীগড়ের এক শিক্ষার্থী। কিন্তু পরপর তিনটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষায় পাস করতে ব্যর্থ হয়ে হতাশায় মুষড়ে পড়েছিলেন তিনি। সে সময় তাঁর সামনে আশার আলো হয়ে আসে একটি খবর—ভারতের আরেক প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষা কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্টে (সিইউইটি) সাফল্যের সঙ্গে পাস করেছেন তিনি।

কিন্তু সিইউইটিতে পাস করার খবর তাঁর জন্য খুব বেশিক্ষণ খুশির খবর হয়ে থাকেনি। নিজের সেই ‘স্বপ্নভঙ্গের’ কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রেডিট’-এ শেয়ার করেছেন ওই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, তিনি দিল্লির বিখ্যাত হংসরাজ কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কলেজটি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পরিচালিত।

কিন্তু দিল্লির নাম শুনেই বেঁকে বসেন ওই শিক্ষার্থীর মা–বাবা। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় অধিকাংশ সময় একেবারে ওপরের দিকে থাকে দিল্লি। দূষিত বায়ুর ওই শহরে তাই সন্তানকে পড়তে পাঠাবেন না তাঁরা।

রেডিটে এক পোস্টে ওই শিক্ষার্থী লেখেন, ‘আমি চণ্ডীগড় থেকে বলছি। এ বছর আমি সিইউইটি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। তিনটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে এবং মানসিকভাবে খুব কঠিন একটি বছর পার করার পর অবশেষে আমি এমন কিছু পেলাম, যা সত্যিই আমার মন থেকে চাওয়া ছিল। দিল্লি ইউনিভার্সিটির হংসরাজ কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ।’

এ সুযোগ পাওয়ার জন্য খুবই কঠোর পরিশ্রম করেছেন বলেও জানান ওই শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘কিন্তু এখন, যখন সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে আসছিল, তখনই আমার মা–বাবা আমাকে দিল্লিতে পাঠাতে রাজি হচ্ছেন না, শুধু দিল্লির দূষণের কারণে। আমি বুঝি, এটা অবশ্যই একটা যুক্তিসংগত উদ্বেগ। কিন্তু মনে হচ্ছে, ছুঁয়ে ফেলার মতো কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার পর আমার স্বপ্নটা ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।’

এখন কী করবেন ওই শিক্ষার্থী, সে বিষয়ে পোস্টে তিনি সবার পরামর্শও চেয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘যদি কেউ আগে এমন কিছুর মুখোমুখি হয়ে থাকেন বা কোনো পরামর্শ দেওয়ার থাকে, তবে আমার জন্য খুব ভালো হয়। আমার খুব দিশাহারা লাগছে। সত্যি বলতে, ভীষণ মন খারাপও হচ্ছে। আমি সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাই না।’

শিক্ষার্থীর ওই পোস্টের নিচে অনেকে নানা

রকম পরামর্শ দিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘মা–বাবাকে বোঝান, এমন একটি সুযোগ নষ্ট করা খুবই বোকামি হবে।’