পশ্চিমবঙ্গে ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণ করতে চাওয়া বিধায়কের ছেলেকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার

তৃণমূলের বহিষ্কৃত বিধায়ক হুমায়ুন কবীরছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পুলিশের এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার হওয়া বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার গ্রেপ্তারের পর রাজ্যের মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানায় তাঁর ছেলে গোলাম নবী আজাদকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার কথা বলে ২২ ডিসেম্বর ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’ নামে নতুন দল গড়েন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কিন্তু ছেলে গ্রেপ্তার হওয়ায় দল গঠনের এক সপ্তাহ পার না হতেই বড় ধরনের ধাক্কা খেলেন তিনি।

গত মাসে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় ‘বাবরি মসজিদ’ নির্মাণের ঘোষণা দেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এরপর ৫ ডিসেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরের দিনই তিনি ওই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

রোববার ছেলের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে হুমায়ুন কবীর তাঁর সব কর্মসূচি বাতিল করে থানায় ছুটে যান। পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর রোববার রাতে বন্ডে সই করে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনেন তিনি। গোলাম নবী আজাদের বিরুদ্ধে মারধরের মামলা করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হুমায়ুনের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যের নাম জুম্মা খান। রোববার ভোরে ছুটি নিয়ে হুমায়ুনের সঙ্গে তাঁর কথা–কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে হুমায়ুনের কার্যালয়ে ছুটে আসেন তাঁর ছেলে। সেখানে জুম্মা খানের সঙ্গে তাঁরও কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জুম্মা খানকে তিনি মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর জুম্মা খান মামলা করলে গোলাম নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে সমালোচনা শুরু হয়। তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, যিনি নিজের নিরাপত্তারক্ষীকে সামলাতে পারেন না, তিনি কীভাবে বাংলা সামলাবেন? বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এসব কর্মকাণ্ড হুমায়ুন কবীরকে আরও জনপ্রিয় করার চেষ্টা।