জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, বাণিজ্যঘাটতি কমাতে ভারতের ওপর নতুন শুল্ক দেওয়া হয়েছেফাইল ছবি: রয়টার্স

ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লি বলেছে, তারা ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রভাব খতিয়ে দেখছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।

স্থানীয় সময় বুধবার সকালে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। আগামী ১ আগস্ট (শুক্রবার) থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও জ্বালানি কেনায় দেশটির বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ পদক্ষেপ নেওয়ারও ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

পরে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যে মন্তব্য করেছেন, তা সরকারের নজরে এসেছে। সরকার এই পদক্ষেপের প্রভাব খতিয়ে দেখছে। কয়েক মাস ধরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ এবং পরস্পর উপকৃত হয়, এমন একটি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে আসছে। আমরা সেই লক্ষ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।’

বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের ‘কৃষক, উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) খাতের কল্যাণ ও উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।’ পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্প্রতি করা মুক্তবাণিজ্য চুক্তির কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় বলেছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্প্রতি করা পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তিসহ অন্যান্য বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে যেমনটি নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘ভারত যদিও আমাদের বন্ধু, তবে বিগত বছরগুলোতে তাদের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে আমরা কম ব্যবসা করেছি। কারণ, তাদের শুল্ক অনেক বেশি, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। তারা বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে কঠোর ও জঘন্য অশুল্ক বাধা ব্যবহার করে।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তারা (ভারত) সব সময় সামরিক সরঞ্জামের বড় একটি অংশ রাশিয়ার কাছ থেকে কিনে থাকে। সবাই যখন চায় রাশিয়া যেন ইউক্রেনে হত্যা বন্ধ করে, ঠিক সে সময়ে চীনের মতো তারাও রাশিয়ার জ্বালানির সবচেয়ে বড় ক্রেতা—এসব মোটেও ভালো কিছু নয়!’

গত এপ্রিলে নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করার সময় ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন। অবশ্য চীনের ওপর আরোপিত মোট ১০৪ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ওপর ৪৯ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্কের তুলনায় এটি কমই ছিল।

আরও পড়ুন