২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরস্কার নিচ্ছেন না অমর্ত্য সেন

অমর্ত্য সেন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার বঙ্গবিভূষণ নিচ্ছেন না নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তাঁর সংস্থা প্রতীচী ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অধ্যাপক সেন অন্য প্রসঙ্গে আগেই জানিয়েছিলেন এ সময়ে তিনি কলকাতায় থাকছেন না। পুরস্কার নেওয়ার বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট আলাপ হয়নি, তাই প্রত্যাখ্যানের প্রশ্ন উঠছে না। তবে আজ সোমবার যখন এই পুরস্কার দেওয়া হবে, তখন তা নিতে তিনি বা তাঁর পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত থাকবেন না।

অমর্ত্য সেনের মেয়ে অন্তরা দেব সেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাঁর বাবা ইতিপূর্বে অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি চান, এবার এ পুরস্কার নতুন কাউকে দেওয়া হোক।

পশ্চিমবঙ্গে গত শনিবার সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই বলেও প্রতীচী ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এ বছর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরস্কারের তালিকায় আরও যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আরেক অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু, নাট্যব্যক্তিত্ব দেবশংকর হালদার প্রমুখ।

অমর্ত্য সেন প্রতিষ্ঠিত সংস্থা প্রতীচী ট্রাস্টের যে বিশাল কর্মকাণ্ড, তার অনেকটাই শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষক প্রশিক্ষণবিষয়ক। অতীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেশ কিছু জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের প্রশংসারও উল্লেখ রয়েছে প্রতীচীর প্রতিবেদনে।

পার্থকে ভুবনেশ্বর নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

সোমবার রাজ্য সরকারের হাসপাতাল এসএসকেএম থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ওড়িশা রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরের কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে নিয়ে যাওয়া নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর সঙ্গে যাবেন চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসক ও আইনজীবী। সেখানে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবারই বিকেলের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

এর আগে আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে জানায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারনিয়ন্ত্রিত সবচেয়ে বড় হাসপাতাল এসএসকেএম পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসার নাম করে দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে চাইছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

ইডি বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সুস্থ বলে জানালেও এসএসকেএমে তাঁর চিকিৎসা হয়েই চলেছে। তদন্ত করার কারণে তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।