বাংলাদেশ নিয়ে ঘৃণা ভাষণ, সাবেক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কর্ণাটকে মামলা

সাবেক বিজেপি নেতা ও কর্ণাটকের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পাছবি: এএনআই

বাংলাদেশে ‘হিন্দু নিপীড়ন’ নিয়ে ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে ভারতের সাবেক বিজেপি নেতা ও কর্ণাটকের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা করেছে কংগ্রেসশাসিত কর্ণাটক রাজ্যের পুলিশ। অভিযোগ, ঘৃণা ভাষণের পাশাপাশি ঈশ্বরাপ্পা কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসেরও।

ঈশ্বরাপ্পা কর্ণাটকের শিবমোগা জেলার প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরঙ্গ দল ও হিন্দু হিতরক্ষা সমিতির ডাকা এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি তিনি বক্তৃতা দেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, এমন অভিযোগে ওই সভা ডাকা হয়েছিল।

অভিযোগ, ঈশ্বরাপ্পা বক্তব্য দেওয়ার সময় নির্দিষ্ট এক ধর্মীয় জনগোষ্ঠী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তাঁর ভাষণের এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। অভিযোগ, তাতে তিনি ইউনূস সরকারেরও কঠোর সমালোচনা করেন। ওই ভাষণের পরই শিবমোগা পুলিশ ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণের মাধ্যমে উত্তেজনা ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে মামলা করে।

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সাবেক এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় মামলা। কেন্দ্রীয় সরকারের আনা ওয়াক্‌ফ বিলের সমালোচনা করায় গত ১৬ নভেম্বর তিনি রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করেছিলেন। অভিযোগ, ওয়াক্‌ফ নিয়ে মুসলিম সমাজের বিরুদ্ধেও তিনি নানা রকম কুমন্তব্য করেছিলেন।

ঈশ্বরাপ্পা কর্ণাটক রাজ্যের প্রথম সারির বিজেপি নেতাদের অন্যতম ছিলেন। ২০২২ সালে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এক ঠিকাদারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। ফলে তৎকালীন বিজেপি সরকার থেকে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সে সময় ঈশ্বরাপ্পার বিরোধ চরমে উঠেছিল। ফলে বিধানসভা ভোটে তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে বিজেপি টিকিট দেয়নি। সে সময় জল্পনা ছিল, বিধানসভা ভোটের আগে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেবেন। অবশ্য তা না করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।

গত লোকসভা নির্বাচনে ছেলের জন্য বিজেপির টিকিট জোগাড় করতে ব্যর্থ হন ঈশ্বরাপ্পা। এরপর তিনি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে কারণে বিজেপি থেকে ছয় বছরের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।