ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টি, বিমান-ট্রেন চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তাল সমুদ্রের বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে সমুদ্রসৈকতে। পর্যটকদের সমুদ্রে নামার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কলকাতার কিছু এলাকায় মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
পর্যটনকেন্দ্র দীঘায় পর্যটকদের হোটেল থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্র মন্দারমণি, শংকরপুর, রায়দিঘি, কাকিদ্বীপ, তাজপুরেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে গোটা সুন্দরবন এলাকায়। সুন্দরবনসংলগ্ন সমুদ্রে ইতিমধ্যে জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে।
সুন্দরবনের ফ্রেজারগঞ্জসহ কলকাতার নাগেরবাজারে ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ ভেঙে পড়েছে। রিমাল মোকাবিলায় রাজ্যের সর্বত্র পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ শিয়ালদহ উত্তর ও দক্ষিণ শাখা, হাওড়া শাখায় ৫৪টি লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। ৩৪০টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ও ৫৪টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করেছে বিমান সংস্থা। বাতিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেনও।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের ছয় জেলায় ইতিমধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ১২টি টিমকে।
পশ্চিমবঙ্গের যেসব জেলায় রিমাল আঘাত হানতে পারে, সেখানকার উপকূলবর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুল–কলেজ ও সাইক্লোন সেন্টারে ত্রাণশিবির খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মজুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী, খাবার ও পানীয় জল। উপকূলবর্তী এলাকার অসংখ্য মানুষকে নেওয়া হয়েছে আশ্রয়শিবিরে।