সিত্রাংয়ে বড় ক্ষতি নেই পশ্চিমবঙ্গে

গতকাল বিকেলে দিঘার সমুদ্রসৈকত
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ভারতের কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে বড় কোনো ক্ষতি করেনি। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি আর ঝড়ে কিছু কাঁচাবাড়ি ভেঙে গেছে।

সিত্রাংয়ের প্রভাবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা।

ওই জেলায় ২৯৫টি আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। আর গোটা রাজ্যে খোলা হয়েছে ৪৬১টি আশ্রয়শিবির। এসব শিবিরে আছেন ৪২ হাজার মানুষ।

গতকাল সোমবার জলোচ্ছ্বাসে পশ্চিমবঙ্গের রায়দিঘি, বকখালী, সন্দেশখালী, হলদিয়া, হিঙ্গলগঞ্জ, ধামাখালী, পার্থ প্রতিমা, কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর, ফ্রেজারগঞ্জ, গঙ্গা সাগর, গোসাবা, মৌসুনী দ্বীপসহ দিঘা, তাজপুর, শঙ্করপুর, মন্দারমণি ও কলকাতারও কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। তবে হতাহতের কোনো খবর মেলেনি।

কোচবিহারের দিনহাটায় যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারের আদলে গড়া কালী পূজামণ্ডপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এক বার্তায় রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন বিনা কারণে যেন কেউ বাড়ির বাইরে না বেরোন।  তিনি বলেছেন, এর মধ্যে ৬৮ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার।

আজ  সকাল থেকে আকাশ মেঘমুক্ত। আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে।