ধার করে কেনা লটারিতে কোটিপতি

কেরালায় সরকারিভাবে এ লটারির আয়োজন করা হয়
ছবি: কেরালা লটারিস ডটকম

কয়েক সপ্তাহ আগের ঘটনা। তাঁরা ১১ জন মিলে সরকারি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি লটারি কেনার সিদ্ধান্ত নেন। লটারির দাম ২৫০ রুপি। প্রত্যেকে প্রায় ২৩ রুপি করে দিলে একটি লটারি কেনা যায়। এর মধ্যে একজন আরেকজনের কাছে ২৫ রুপি ধার করেন। এতেই হয়েছে বাজিমাত।

গত বুধবার লটারিটির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। তাতে বিজয়ী হয়েছেন ওই ১১ নারী। পুরস্কার হিসেবে লটারিতে ১০ কোটি রুপি জিতেছেন তাঁরা। এক টিকিটে তাঁদের প্রত্যেকেই এখন ‘প্রায় কোটিপতি’।

লটারিতে ১০ কোটি রুপি জেতা ১১ নারী কেরালা রাজ্যের পরপ্পানংগাদি পৌরসভার হরিৎ কর্ম সেনা প্রকল্পের সদস্য। হরিৎ কর্ম সেনারা বাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অজৈব বর্জ্য সংগ্রহ করেন। পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে নামমাত্র বেতন পান তাঁরা। তাঁদের অনেকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।

এক সহকর্মীর কাছ থেকে ধার করে লটারি কিনেছিলেন রাধা নামে ওই ১১ নারীর একজন। লটারি জেতার প্রতিক্রিয়ায় রাধা বলেন, ‘এর আগেও আমরা সবাই মিলে টিকিট কিনেছি। কিন্তু আগে কখনো আমাদের লটারি জেতা হয়নি। এবার প্রথম লটারি জিতলাম, তা–ও ১০ কোটি রুপি।’

লটার জেতা আরেক নারী বলেন, লটারির ড্র হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু এর মধ্যে একজন জানান, পার্শ্ববর্তী পালাক্কাদ জেলার একজন প্রথম পুরস্কার জিতেছেন।

ওই নারী আরও বলেন, ‘পরে যখন জানতে পারলাম আমরাই প্রথম পুরস্কার জিতেছি, তখন খুশির সীমা ছিল না। আমাদের সবার টানাপোড়েনের জীবন। এই লটারি জেতায় অনেক সমস্যার সমধান হবে।’

হরিৎ কর্ম সেনা নামে ওই প্রকল্পের চেয়ারম্যান শীজা বলেন, লটারি জেতা এই নারীদের সবাই অত্যন্ত পরিশ্রমী। অনেকেই তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। অনেকেই ঋণগ্রস্ত। কারও মেয়ে বড় হয়েছেন, অর্থাভাবে বিয়ে দিতে পারছেন না; বাড়ির অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা করাতে পারছেন না। কঠিন এক জীবনবাস্তবতা ছিল এই নারীদের। ভাগ্য যোগ্য ব্যক্তিদেরই সহায় হয়েছে।