বিজেপির মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গরুর মাংস পাচারে ‘পাস ইস্যুর’ অভিযোগ
ভারতের বিজেপি সরকারের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে গরুর মাংস পাচারকারীদের জন্য ‘পাস ইস্যু করার’ অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত লোকসভা সদস্য মহুয়া মৈত্র।
ভারতে গরুর মাংস বা গরু পাচার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। যদিও দেশটি থেকে বিদেশে গরুর মাংস রপ্তানির আইনি বৈধতা রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বনগাঁ আসন থেকে নির্বাচিত লোকসভার সদস্য শান্তনু ঠাকুরের সই করা একটি চিঠি প্রকাশ করেন মহুয়া। তিনি অভিযোগ করেন, এর মাধ্যমে ‘তিন কেজি গরুর মাংস পরিবহনে’ পাচারকারীদের সহায়তা করেছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ চলাচল প্রতিমন্ত্রী।
মহুয়া বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) লেটার হেড–সংবলিত একটি আবেদনপত্র ছাপিয়ে শান্তনু ঠাকুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাকারবারিদের জন্য অনুমতিপত্র ইস্যু করছেন। এ ক্ষেত্রে তিন কেজি মাংস সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।
ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের হার গত কয়েক বছরে যথেষ্ট কমে এসেছে। তবে একেবারে বন্ধ হয়নি। এ ক্ষেত্রে মহুয়া তাঁর মতো করে প্রমাণ তুলে ধরে জানালেন, পাচারের সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জড়িত।
অবশ্য ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে শান্তনু বলেছেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মনে হচ্ছে, মহুয়া মৈত্র ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলাকে অভ্যাস পরিণত করে ফেলেছেন।
শান্তনু আরও বলেন, ‘কেন মাত্র তিন কেজি গরুর মাংস কেউ পাচার করবে? এটা কি অযৌক্তিক নয়?’ তিনি বলেন, ‘অনেক সময় স্থানীয় কিছু সমস্যা সমাধান করতে সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের পাস জারি করা হয়। এই সত্যটি তিনি (মহুয়া) গোপন করেছেন।’
মহুয়া গত সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি শাখার সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন দাসের একটি পোস্টও প্রকাশ করেছেন। পোস্টে জিয়ারুল গাজী নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে একটি ভিডিও রয়েছে। তাঁর নামে কথিত পাসটি ইস্যু করা হয়েছিল।