এবার মদের আবগারি দুর্নীতির মামলায় এএপির নেতা সঞ্জয় গ্রেপ্তার

দিল্লির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্লোগান দিচ্ছেন সঞ্জয় সিং। ৪ অক্টোবর
ছবি: এএনআই

ভারতের আম আদমি পার্টির (এএপি) জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা এল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এএপির নেতা রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিংকে গ্রেপ্তার করেছে। দিল্লিতে মদ বিক্রি নিয়ে রাজ্য সরকারের আবগারি নীতিতে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই একই অভিযোগে ইতিমধ্যে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইডি বলছে, ওই মামলার আসামি ব্যবসায়ী দিনেশ অরোরাকে জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জয় সিংয়ের নাম এসেছে। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে অরোরা দাবি করেছেন, এএপির নেতা সঞ্জয় সিং তাঁকে মণীশ সিসোদিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। সিসোদিয়া তখন আবগারি–বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।

আজ বুধবার ভোরে রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয়ের বাসায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে অভিযান চলে। সঞ্জয়কে ইডি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হতে পারে। সেখানে ইডি তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করতে পারে।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও এএপি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর সহকর্মীর বাড়িতে তল্লাশির সময় বেরিয়ে আসেন। তিনি বিজেপির নামোল্লেখ না করে অভিযোগ করেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে একটি দল প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কেজরিওয়াল দাবি করেন, ‘আমরা গত বছর মদ–সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি নিয়ে অনেক কথাবার্তা শুনেছি। এক হাজারের বেশি তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তারা একটি পয়সাও উদ্ধার করতে পারেনি। তারা কেবল অভিযোগ করে যাচ্ছে। আমি অনেক তদন্ত করেছি। কিন্তু কিছুই পাইনি।’

কেজরিওয়াল বলেন, ‘সঞ্জয় সিংয়ের বাড়িতেও কিছু পাওয়া যাবে না। নির্বাচন আসছে এবং তারা বুঝে গেছে, তারা হারছে। সুতরাং পরাজিত হতে যাওয়া দলের পক্ষ থেকে এটি শেষ চেষ্টা।’

সঞ্জয় সিংকে গ্রেপ্তারের খবর আসার পর রাঘব চান্দাও অনুরূপ অভিযোগ করেন এবং তিনি বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করেন।

চান্দা বলেন, ‘তারা ১৫ মাস ধরে মামলার তদন্ত করে যাচ্ছে। কিন্তু একটি রুপিও তারা খুঁজে বের করতে পারেনি। অনেক সময় এবং অনেক সম্পদ ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু তারা কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয়। বিজেপি জানে, তারা হেরে যাচ্ছে।’