বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের তরফ থেকে প্রতিবেদন চায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

দুর্গাপূজা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে প্রতিবেদন চেয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার সেই চিঠি এসেছে বিশ্বভারতীর কাছে।

শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রতিবেদন তলব করা হয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বা চ্যান্সেলর পদে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাসনাগৃহে সাপ্তাহিক উপাসনা অনুষ্ঠানে বসন্ত উৎসব এবং দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘উৎসব নিয়ে যাঁরা প্রথার কথা বলেন, তাঁরা বসন্ত উৎসবের নামে বসন্ত–তাণ্ডব চান। সেই বসন্ত–তাণ্ডবের পক্ষপাতি নই।’

আশ্রম ধর্মাচারীদের একাংশ অশিক্ষিত নয়তো অল্প শিক্ষিত বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য।

এসব মন্তব্যে বিশ্বভারতীর আশ্রমবাসী এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রমবাসী, প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ ১৭৫ জনের স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের হাতে দেওয়া হয়।

পরে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বিশ্বভারতীর আচার্য তথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়। পাশাপাশি এর প্রতিলিপি দেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিবের কাছেও।

প্রধানমন্ত্রী মোদির দপ্তর থেকে শান্তিনিকেতনের ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন উপাচার্য এ ধরনের মন্তব্য করেছেন?