‘লাটভবন’ সবার জন্য উন্মুক্ত

প্রথম দিনে রাজভবন দর্শন করেন ২৯ জন বিশেষ অতিথি
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ব্রিটিশ আমলে নির্মিত কলকাতার গভর্নর হাউস বা রাজভবন ২০০ বছর পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। শনিবার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন রাজভবন খুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এখন থেকে রাজভবন ‘জন-রাজভবন’ নামে পরিচিত হবে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবন খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সাধারণ মানুষদের রাজভবন দেখানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা জাদুঘরকে। রাজভবন দর্শনের জন্য জাদুঘরের ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম নিবন্ধন করতে হবে। শনি অথবা রোববার— সপ্তাহে এক দিন এই সুযোগ দেওয়া হবে।

দর্শনার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

১৭৯৮ সালে রাজভবন নির্মাণ শুরু হয়। শেষ হয় ১৮০৫ সালে। তখনই এটি নির্মাণে খরচ হয়েছিল ২০ লাখ ভারতীয় রুপি। এই ভবনে বাস ছিল ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেলদের। একসময় ভবনটিকে ‘লাটভবন’ বলা হতো। ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর এই ভবনে থাকেন রাজ্যের গভর্নর বা রাজ্যপাল।

খুলে দেওয়ার পর প্রথম দিন রাজভবন দর্শন করেন একঝাঁক শিশু-কিশোরসহ ২৯ জন বিশেষ অতিথি। এর মধ্যে ছিলেন কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, লক্ষ্মণ সুব্রামানিয়াম, তনুশ্রী শঙ্কর প্রমুখ। ত্রিপুরা, পাঞ্জাব ও রাজস্থান থেকেও অতিথি এসেছিলেন। তাঁরা চায়নিজ ক্যানন, কার্জন এলিভেটর (এশিয়ার প্রথম লিফট), দুটি সরোবর, ১১ হাজার বইয়ের গ্রন্থাগার, কাগান ও বিভিন্ন হল ঘুরে দেখেন।

রাজভবনের ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঘুরে দেখে শিক্ষার্থীরা
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

শনিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ঘোষণা দেন, ‘আজ থেকে এই রাজভবন হয়ে গেল “জন-রাজভবন”। সাধারণ মানুষের দেখার জন্য খুলে গেল এর দুয়ার। এর আগে এই রাজভবন ছিল সংরক্ষিত স্থাপনা। বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া এই রাজভবনে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল না।’

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী বিশেষ ব্যবস্থায় এক দিনের জন্য রাজভবনের দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন।