পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির আসন ১৮ থেকে ৩০ করার আহ্বান অমিত শাহর

পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাটে আজ নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য আজ বুধবার পশ্চিমবঙ্গে প্রথম পা রাখেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর আজ দুপুরে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট আসনের বিজেপির প্রার্থী ও দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আসন থেকে। বালুরঘাটের বুনিয়াদপুরে বিজেপি আয়োজিত নির্বাচনী প্রচার সভা শুরু করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বালুরঘাট আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ মে।

এ সভায় যোগ দিয়ে অমিত শাহ বলেন, বাংলা থেকে তৃণমূলের ভ্রষ্টাচার বন্ধ করতে হবে। সোনার বাংলা গড়তে হবে। এই বাংলায় বন্ধ করতে হবে অনুপ্রবেশ। মনে রাখতে হবে, অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূলের ভোটব্যাংক।

অমিত শাহ বলেন, ‘এবার এই বাংলায় বিজেপির আসন ১৮ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করতে হবে। লক্ষ্য থাকবে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই বাংলায় তৃণমূলকে হটিয়ে ক্ষমতায় আনতে হবে। আমাদের কথা, অবিলম্বে এই বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। কারণ, অনুপ্রবেশকারীরাই মমতার ভোটব্যাংক।’

অমিত শাহ বলেন, ‘এবার আমাদের লোকসভায় ৩৭০ আসন পার করতে হবে। লোকসভায় রয়েছে ৫৪৩ আসন। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৪২ আসন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদ করেছি।’ অমিত শাহ বলেন, ‘এবার আমাদের লক্ষ্য হবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে বাংলার ক্ষমতায় আসা।’

অমিত শাহ বলেন, ‘আমরা নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। সিএএ কারও নাগরিকত্ব রদ করার নয়; বরং নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন।’

পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতি নগরের এনআইএ কর্মকর্তাদের ওপর হামলার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘দোষীরা রক্ষা পাবে না। টিএমসি এখন দোষীদের বাঁচাতে ব্যস্ত। সন্দেশখালীর ইডির কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। বাংলায় দোষীদের শাস্তি হবেই।’ তিনি বলেন, সময় এসেছে টিএমসির দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করার।

অমিত শাহ আরও বলেন, ‘সোনার বাংলায় আজ বোমাবাজি, সন্ত্রাস আর কাটমানির সংস্কৃতি চালু হয়েছে। এবার এই বাংলা থেকে আমাদের বন্ধ করতে হবে অনুপ্রবেশ। আজ অনুপ্রবেশকারীই মমতার ভোটব্যাংক।’ শাহ বলেন, ‘গরিবের জন্য কাজ করে যাচ্ছে মোদিজির সরকার। তাই তৃতীয়বারের জন্য মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য আপনারা এগিয়ে আসুন। কারণ, এই বাংলায় সন্ত্রাসমুক্ত এক সোনার বাংলা দিতে পারেন মোদিজি। তাঁকে বিপুল ভোটে জয়ী করে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করুন।’‍