কৃত্রিমভাবে তৈরি ছেঁড়া জিনস প্যান্ট ও ‘অশালীন পোশাক’ না পরার শর্তে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ভর্তি হতে হচ্ছে কলকাতার আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু কলেজে ভর্তিচ্ছু ছাত্র–ছাত্রীদের। শুধু শিক্ষার্থী নয়, এমন মুচলেকাপত্রে স্বাক্ষর করতে হচ্ছে অভিভাবকদেরও। এ নিয়ে কলকাতাসহ রাজ্যজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এতে ব্যক্তিগত অধিকার খর্ব হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড়।
কলেজ অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে গত বছর কলেজে নোটিশ দিয়েছিলাম। তারপরও দেখা যাচ্ছে দুয়েকজন সে নির্দেশ অমান্য করে কলেজে আসছেন।’
কলকাতার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ কর্তৃপক্ষ গত বছরের মার্চ মাসে এক নোটিশ জারি করে বলেছিল, পড়ুয়ারা কৃত্রিমভাবে তৈরি ছেঁড়া জিনসের পোশাক পরে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন না। ঢুকতে পারবেন না ওই কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরাও।
আগের নোটিশে তেমন কাজ না হওয়ায় এবার আবার নতুন করে নোটিশ দেওয়া হলো। সেখানে বলা হয়েছে, এই নির্দেশ অমান্য করা হলে প্রয়োজনে পড়ুয়াদের বহিষ্কার করা হবে।
এই কলেজে এখন ছয় হাজার পড়ুয়া রয়েছেন।
অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি আরও বলেন, বাইরে কেউ ইচ্ছেমতো পোশাক পরতে পারেন, কিন্তু কলেজে নয়। কলেজের নিয়ম ও শৃঙ্খলা মানতেই হবে। এ জন্যই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ফরমে মুচলেকা নেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ এ কথাও বলেন, র্যাগিং করলে কাউকে রেয়াত দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাঁদের কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হবে।
তবে শিক্ষাঙ্গনে বিতর্কিত পোশাক না পরার পক্ষে সওয়াল করলেও, কৃত্রিমভাবে তৈরি ছেঁড়া জিনসের পোশাক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পক্ষে সমর্থন করেনি কলেজের তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপা। ওয়েবকুপার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুগের সঙ্গে ফ্যাশন বদলায়। সেটাকে অগ্রাহ্য করা যায় না। একই সঙ্গে বহিষ্কারের হুঁশিয়ারিও মেনে নেওয়া যায় না।