মধ্যপ্রদেশে দুই বন্ধু তিন দিন খনন করে পেলেন ৫০ লাখ রুপির হীরা

হীরার টুকরোপ্রতীকী ছবি: রয়টার্স

ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের পান্না জেলা থেকে দুই তরুণ তিন দিনের খনন শেষে ১৫ দশমিক ৩৪ ক্যারেটের হীরা পেয়েছেন। নিলামে এই হীরার বাজারমূল্য ৫০ লাখ রুপি ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাঁরা হীরাটি পান্না জেলার সরকারি হীরা নিয়ন্ত্রণ ও নিবন্ধন কেন্দ্র পান্না ডায়মন্ড অফিসে জমা দিয়েছেন।

২৪ বছর বয়সী সতীশ খটিক ও ২৩ বছর বয়সী সাজিদ মোহাম্মদ মধ্যপ্রদেশের কৃষ্ণ কল্যাণপুরে আট মিটার জমি ইজারা নিয়েছিলেন। এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র খনিশ্রমিকেরা সাধারণ হাতিয়ার ব্যবহার করে হীরা খোঁজেন এবং যা পান, তা রাজ্য অফিসে জমা দেন।

এবারের হীরাটি মহামূল্যবান। কারণ, এ বছর পান্না ডায়মন্ড অফিসে ৬০টির বেশি হীরা জমা পড়লেও অধিকাংশের ওজন দুই ক্যারেটের কম। তা ছাড়া বেশ কটির গুণগত মান খারাপ হওয়ায় নিলামে ভালো দাম পাওয়া যায়নি।

পান্না ডায়মন্ড অফিসের কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘এ দুই তরুণ মাত্র ২০ দিন আগে কৃষ্ণ কল্যাণপুরে হীরা খনন করেছিলেন। আজ (গত মঙ্গলবার) তা অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। হীরার মূল্য ৫০ লাখ রুপি ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’

হীরার টুকরোটি সতীশ ও সাজিদের জীবন বদলে দিতে যাচ্ছে। এই দুই বন্ধুর দাদা ও বাবাও হীরার আশায় ইজারা নিয়ে মাটি খনন করতেন। কিন্তু তেমন একটা সাফল্য পাননি। দুই তরুণের পরিবার টিন ও ইট দিয়ে তৈরি সাদামাটা ঘরে থাকেন।

সতীশ বলেন, ‘আমরা কোনো ঋণ না নিয়ে বোনদের বিয়ে দিতে চাইছিলাম। এখন তা হয়তো সম্ভব হতে যাচ্ছে।’

মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের পান্না জেলা হীরার জন্য বিখ্যাত। রাজ্যের বান্দেলখন্ড অঞ্চলের পান্না জেলায় ১২ লাখ ক্যারেট হীরা মজুত আছে বলে ধরা হয়।

এ অঞ্চলে দশকের পর দশক ধরে সরকারি–বেসরকারিভাবে হীরার জন্য মাটি খনন করা হয়েছে। অঞ্চলটিতে হীরা খননের বড় উদ্যোগ এখন আর নেই। বর্তমানে ক্ষুদ্র খনিশ্রমিকেরা ছোট হীরার টুকরোর আশায় গভীরে খননকাজ চালান। বেশির ভাগ ব্যর্থ হন।

গত এক মাসে ছয়জন কৃষক পাঁচটি হীরা পেয়েছেন। এর মধ্যে তিনটির মান বেশ ভালো, যার মূল্য প্রায় ১২ লাখ রুপি।