সিএএ আইনে ১৪ জনকে নাগরিকত্ব দিল ভারত

ভারতের নাগরিকত্ব সনদ হাতে কয়েকজন। ১৫ মে, নয়াদিল্লিছবি: এএনআই

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) আওতায় আজ বুধবার ১৪ আবেদনকারীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম ২০১৯ সালে পাস হওয়া নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী অন্য দেশ থেকে আসা কাউকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হলো।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, আবেদনকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন মন্ত্রণালয়ের অধীন আদমশুমারি বিভাগের পরিচালক। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লাও কয়েকজন আবেদনকারীর হাতে নাগরিকত্বের সনদ তুলে দেন।

তবে পশ্চিমবঙ্গে যে বিরাট অংশের মানুষ রয়েছেন, তাঁদের কেউ আজ নাগরিকত্ব পাননি বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন মতুয়া মহাসংঘের এক সদস্য, যিনি ভারতীয় জনতা পার্টিরও (বিজেপি) কর্মী। মতুয়া মহাসংঘ তফসিলি জাতিভুক্ত নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী, যাঁদের বড় অংশই ভারতের বাইরে থেকে এসেছেন।

নমঃশূদ্র এবং মতুয়া সমাজের নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যা থাকার কারণে তাঁরা প্রায় একচেটিয়া গত কয়েকটি নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। কারণ, ২০১৯ সালে বিজেপি সিএএ পাস করেছে। যদিও আইনটির বাস্তবায়ন করা হয় চলতি বছরের মার্চে। তবে এখনো পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেউই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি বলে মহাসংঘের সদস্যরা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, আবেদনকারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। তিনি নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিধিমালার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো আবেদনকারীদের কাছে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে ভারতের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা দপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১১ মার্চ ভারত সরকার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিধিমালা প্রকাশ করে। বিধিতে আবেদনপত্রের পদ্ধতি, জেলাস্তরের কমিটির মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়ার পদ্ধতি এবং রাজ্যস্তরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই এবং নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে।

এসব নিয়ম অনুসরণ করে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে বা ভয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ যাঁরা ২০১৪ সালের আগে ভারতে এসেছেন, তাঁদের কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হচ্ছে।