বিদেশি গণমাধ্যম কিংবা বিদেশি সংগঠন যারাই ইদানীং ভারতের সরকার, গণতন্ত্র, বাক্‌স্বাধীনতা, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সমালোচনা করছে, প্রত্যেকেই ভারতবিরোধী বলে অভিহিত হচ্ছেন। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, এসব ভারতকে কালিমালিপ্ত করার অপপ্রচার ও চক্রান্ত। ভি ডেম ইনস্টিটিউট বা ফ্রিডম হাউসের রিপোর্টের পাশাপাশি ভারত বিরোধিতার সেই তকমা সাঁটা হয়েছে হিনডেনবার্গ রিসার্চ ও বিবিসির কপালেও। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকেও সেই একই পঙ্‌ক্তিতে ফেললেন ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

পরপর কয়েকটি টুইটে অনুরাগ ঠাকুর শুক্রবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই সংবাদপত্র অনেক দিন আগেই নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিয়েছে। ভারত সম্পর্কে সংবাদপত্রটি যখন খুশি যা তা প্রকাশ করে চলেছে। এবারও কাশ্মীরের বাক্‌স্বাধীনতা না থাকা নিয়ে যা লেখা হয়েছে, তা দুরভিসন্ধিমূলক ও কল্পনাপ্রসূত। ওই নিবন্ধের উদ্দেশ্য একটাই—ভারত সরকার, ভারতের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা। তিনি লেখেন, নিউইয়র্ক টাইমসের মতো আরও কয়েকটি সমভাবাপন্ন বিদেশি গণমাধ্যম এভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এই মিথ্যাচারিতা বেশি দিন টিকবে না।

অনুরাগ ঠাকুর ভারতের গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের জয়গান করে টুইটে লিখেছেন, ভারতের গণতন্ত্র ও দেশবাসী যথেষ্ট পরিণত। এ ধরনের একদর্শী গণমাধ্যমের কাছ থেকে আমরা গণতন্ত্রের ব্যাকরণ শিখতে যাব না। নিউইয়র্ক টাইমসের মিথ্যাচারিতা নিন্দনীয়। ভারতবাসী তাদের এ দেশে সফল হতে দেবে না।

ভি ডেম ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্ট অবশ্য দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধকেই পরোক্ষভাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের জনগণ রাজনৈতিক মেরুকরণে সম্মোহিত হয়ে ক্রমেই গণতান্ত্রিক নীতি থেকে সরে আসছে। মেরুকরণের ফলে গত ১০ বছরে ভারতে সহযোগিতার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে।

অসহিষ্ণুতা বেড়েছে। বিজেপি ওই রিপোর্টের সমালোচনায় বলেছে, সংগঠনটি মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরোসের টাকায় চলে। হিনডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর জর্জ সোরোস আদানি গোষ্ঠীর সমালোচনা করেছিলেন।