ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম: অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ুতে বৃষ্টি, চেন্নাইতে মৃত ১২

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বাপাটলা উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। শক্তিশালী এই ঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্র প্রদেশ ছাড়াও তামিলনাড়ু ও ওডিশায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম স্থলভূমিতে প্রবেশ করে। এ সময় ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইতে থাকে। সমুদ্রের জলে বড় বড় ঢেউ উঠতে থাকে। অন্ধ্রের উপকূল পেরোতে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সময় লাগে দুই ঘণ্টা। ঘূর্ণিঝড় এবার শক্তি হারাতে থাকবে এবং সাধারণ ঝড়ে পরিণত হবে বলে ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। এর প্রভাবে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বৃষ্টি হবে বলেও জানানো হয়েছে।

ঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে অন্ধ্র প্রদেশে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অন্ধ্রে কিছু জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হবে। তামিলনাড়ুতে মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি হবে। কিছু জায়গায় প্রবল বৃষ্টিও হতে পারে।

অন্ধ্র প্রদেশের বাপটালাতে ঘূর্ণিঝড় চলার সময় সমুদ্রে বিশাল ঢেউ উঠতে থাকে। তবে এর ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি। অন্ধ্র, তামিলনাড়ু থেকে কোনো খবর এখনো আসেনি।  তবে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়-বৃষ্টির কারণে শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।

চেন্নাইয়ে ১২ জনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই সোমবার ভোর থেকে চেন্নাইয়ে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টি থামলেও এখনো শহরজুড়ে রাস্তায় জল জমে আছে। হাসপাতালের ভেতরে জল ঢুকে গেছে। নিচু এলাকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহরের অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। পানীয় জলের সমস্যাও শুরু হয়ে গেছে। আসলে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় শহর থেকে জল বেরোতে পারছে না।

এই প্রবল বৃষ্টিতে দেয়াল ভেঙে পড়েছে, গাড়ি ভেসে গেছে, রাস্তা ভেঙে গেছে, প্রচুর বাড়িতে জল ঢুকেছে। সব মিলিয়ে মারা গেছেন ১২ জন। আহত হয়েছেন ১১ জন।

শহরের নিচু এলাকা থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা রাবার বোট নিয়ে মানুষকে উদ্ধার করছেন। তা ছাড়া ট্রাক্টর, মাছ ধরার নৌকায় করেও উদ্ধার করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন জানিয়েছেন, প্রায় ৬২ হাজার ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। ১১ লাখ দুধের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।