এবার হচ্ছে ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’, শুরু হবে মণিপুর থেকে

প্রথম ভারত জোড়ো যাত্রার সমর্থনে কলকাতায় কংগ্রেস সমর্থকদের র‌্যালিছবি: এএনআই

কংগ্রেসের দ্বিতীয় ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হবে আগামী ১৪ জানুয়ারি। জাতিদাঙ্গায় বিধ্বস্ত ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে এই যাত্রা শুরু হবে। শেষ হবে মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ে। এবারের যাত্রার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’। ১৪টি রাজ্যে ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ৯ সপ্তাহ পর ২০ মার্চ এই যাত্রা শেষ হবে। যাত্রা শুরু করবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।

কংগ্রেসের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল আজ বুধবার এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, প্রথম দফার যাত্রা হয়েছিল দক্ষিণ থেকে উত্তরে। নাম ছিল ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। এবারের যাত্রার নাম ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’।

কে সি বেনুগোপাল বলেন, মণিপুরের জনগণের অন্তহীন দুঃখ–দুর্দশায় সবাই উদ্বিগ্ন। সেই কারণে এই রাজ্য থেকেই যাত্রা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মণিপুর থেকে নাগাল্যান্ড, আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড, ওডিশা, ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও গুজরাট হয়ে শেষ হবে মহারাষ্ট্রে। যাত্রীরা পাড়ি দেবেন এই ১৪ রাজ্যের ৮৫টি জেলা।

ভারত জোড়ো যাত্রায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হেঁটেছিলেন রাহুল গান্ধী। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর পর্যন্ত এই যাত্রা হয়েছিল। ১২টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্য দিয়ে ৪ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পদব্রজে অতিক্রম করেন রাহুল ও তাঁর সঙ্গীরা।

আরও পড়ুন

এবারেও যাত্রায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাহুল গান্ধী হাঁটবেন। সঙ্গী হওয়ার কথা তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। তবে এবারের ‘ন্যায় যাত্রা’ শুধু পদব্রজে হবে না। প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক কারণ এবং লোকসভার নির্বাচন ঘাড়ের ওপর বলে যাত্রা পথের কোনো কোনো ক্ষেত্রে যানবাহন ব্যবহার করা হবে। প্রথম ভারত জোড়ো যাত্রা ছিল প্রায় পাঁচ মাস। দ্বিতীয় যাত্রা দুই মাস এক সপ্তাহ চলবে বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে।

ভারত ন্যায় যাত্রার সময় নির্ধারণ হয়েছে ভাবনাচিন্তা করে। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় অসমাপ্ত রাম মন্দির উদ্বোধনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে হবে এই যাত্রা। মন্দির তৈরির কাজ শেষ না হলেও ভোটের আগে তা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিজেপি দেশজুড়ে যে হাওয়া তুলতে চাইছে, তা কিছুটা প্রশমিত করে কংগ্রেসকে চাঙ্গা করাই এই যাত্রার লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

মন্দির উদ্বোধনে কংগ্রেসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী ও লোকসভার বিরোধী নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও তাঁরা উপস্থিত থাকবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

বিজেপি যথারীতি এই কর্মসূচির সমালোচনা করেছে। দলের মুখপাত্র নলীন কোহলি বলেছেন, কংগ্রেসের দ্বিচারিতার জন্য দেশের মানুষ ভারত জোড়ো যাত্রাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। স্রেফ স্লোগান দিয়ে মানুষকে বোকা বানানো যায় না। দেশবাসীকে সব দিক থেকে প্রকৃত ন্যায় দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন