আসাম কংগ্রেসের সভাপতিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ

কংগ্রেসের আসাম রাজ্য সভাপতি ভূপেন বরাছবি: এএনআই

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পরদিনই আজ বৃহস্পতিবার পূর্ব ভারতের আরেক রাজ্য আসামের বিরোধী দল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ভূপেন বরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁকে সাড়ে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ব্যক্তিগত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফের তাঁকে ১২ ফেব্রুয়ারি হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

গত ১৮ জানুয়ারি রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার’ সময় অনুমোদিত রাস্তায় না হেঁটে কংগ্রেসের মিছিল অন্য রাস্তায় যাওয়ার কারণে শহরের যানবাহনে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এই অভিযোগে রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

ভূপেন বরার সঙ্গে ছিলেন আসামের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সইকিয়া, বিধায়ক ভাস্কর জ্যোতি বড়ুয়া এবং তাঁর আইনজীবী। কংগ্রেসের দুই শতাধিক কর্মী ও সমর্থকও থানার বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। বরার সমর্থনে তাঁদের ধরনা দিতে দেখা যায়।

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় দেবব্রত সইকিয়া বলেন, ‘পুলিশ আজ ভূপেনকে ব্যক্তিগত মুচলেকায় ছেড়েছে। তাঁকে ১২ ফেব্রুয়ারি আবার হাজির হতে বলেছে। তারা কিছু নথিও চেয়েছে। কংগ্রেসের সভাপতি (মল্লিকার্জুন খাড়গে) উপস্থিত হয়ে সব নথি জমা দেবেন। আমরা আইন মানি। তবে একই সঙ্গে আইনের অপব্যবহারের প্রতিবাদও করব।’

এদিকে আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ভূপেন বরাকে নতুন করে তলব করার নিন্দা করেছে। তারা বলেছে, এটি আসামের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্র প্রকাশ করেছে। তারা আরও বলেছে, ‘রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার সময় দেশের কোনো অংশে কোনো সমস্যা হয়নি এবং সহিংসতার ঘটনাও ঘটেনি। এটা শুধু আসামে ঘটেছে।’

বরা ছাড়াও অন্য দুই নেতা যাঁদের নামে সমন পাঠানো হয়েছিল, তাঁরা হলেন আসাম কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি রানা গোস্বামী এবং ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার প্রধান সংগঠক কে বি বাইজু। গোস্বামী ১১ ফেব্রুয়ারি থানায় হাজিরার জন্য সময় চেয়েছিলেন, আর বাইজু হাজির হওয়ার জন্য আরও ১০ দিন সময় চেয়েছেন।

এর আগে আসামের জোড়হাট জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পুতুল বড়গোহাই এবং জেলা সম্পাদক অভিজিৎ ফুকন ইতিমধ্যে ২৭ জানুয়ারি থানায় হাজিরা দিয়েছিলেন।