ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে হটানোর লক্ষ্যে ভারতের বিরোধী ২৬টি দল গঠন করেছে মোদিবিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। সেই জোট বা ইন্ডিয়ার আজ শুক্রবার বৈঠক চলছে মুম্বাইয়ে। অন্যদিকে আজই পশ্চিমবঙ্গে চলছে মোদি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে উপনির্বাচনে হারাতে কংগ্রেস ও সিপিএমের লড়াই।
পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে হবে উপনির্বাচন। সেখানে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস-সিপিএম। সেখানে বিজেপি ও তৃণমূলও লড়ছে। ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের সঙ্গে আছে কংগ্রেস ও সিপিএম। কিন্তু কেন্দ্রে এবং রাজ্যে এই দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থান রাজ্য রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ধূপগুড়ি আসনটি জলপাইগুড়িতে। এখানের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় ২৬ জুলাই হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। সেই আসনে উপনির্বাচন হবে ৫ সেপ্টেম্বর। এই আসনে কংগ্রেস-সিপিএমের জোটের প্রার্থী হলেন ঈশ্বর চন্দ্র রায়। প্রার্থী সিপিএম দলীয়। তৃণমূলের লড়ছেন নির্মল চন্দ্র রায়।
এই আসনের উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আজ ধূপগুড়িতে বলেছেন, ‘বিজেপি আর তৃণমূলের লুটের বাজার হচ্ছে এই দেশ। কেন্দ্রে বিজেপি আর বাংলার তৃণমূল। মোদি আর দিদির লুটের বাজার। এই দেশে লুট হচ্ছে, লুট বন্ধের উদ্যোগ নেই। ভারতকে লুট করছে বিজেপি আর বাংলাকে লুট করছে তৃণমূল। এখন পশ্চিমবঙ্গে শুধু লুট হচ্ছে। চাকরি নেই। আছে শুধু সন্ত্রাস। বিজেপি তো পুঁজিপতিদের দোসর। সমবণ্টনের নীতি নেই। তাই চাই বাংলার পরিবর্তন। লুটেরাদের শাসনের অবসান।’
এই নির্বাচনী প্রচার সভায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘একদিকে মোদি, অন্যদিকে দিদি আমাদের শোষণ করে চলেছেন। এখন বাংলায় শুধু লুট হচ্ছে। প্রতিকার হচ্ছে না। গরু, কয়লা, চন্দনকাঠ লুটের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে।’