বিহারে পূজার জমায়েতে উঠে গেল দ্রুতগতির ট্রাক, শিশুসহ নিহত ১২

ভারতের ম্যাপ

ভারতের বিহারে পূজা দিতে জড়ো হওয়া লোকজনের ভিড়ের মধ্যে দ্রুতগতির একটি ট্রাক ঢুকে পড়লে নারী, শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন কয়েকজন। গতকাল রোববার রাতে বিহারের বৈশালী জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভির
সড়কের পাশে একটি অশ্বত্থ গাছের সামনে ‘ভুমিয়া বাবা’র প্রতি পূজা দিতে লোকজন জড়ো হলে রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি ২ লাখ রুপি আর আহত ব্যক্তিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এক টুইটে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বিহারের বৈশালীর দুর্ঘটনা দুঃখজনক। নিহত ব্যক্তিদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত ব্যক্তিদের আশু সুস্থতা কামনা করছি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি দুই লাখ রুপি দেওয়া হবে। আহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকে পাবেন ৫০ হাজার রুপি করে।’
বিহারে হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনার খবর ‘খুবই বেদনাদায়ক’।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) স্থানীয় বিধায়ক মুকেশ রৌশন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়। আহত অনেককে হাজিপুরের সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনজন মারা যান। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের পাটনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বৈশালীর পুলিশ সুপার মনীশ কুমার বলেন, বিয়ের প্রথার অংশ হিসেবে সেখানে জড়ো হন লোকজন। পাশের সুলতানপুর গ্রামের এক বাড়িতে কয়েক দিনের মধ্যে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।
মনীশ কুমার আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী মাহনার-হাজিপুর সড়কে দ্রুতগতির ট্রাকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ট্রাকের মধ্যেই তিনি আটকে আছেন। চালকও বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে চার শিশু রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে অনেক দেরিতে পৌঁছেছে অভিযোগ করে তাঁদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এতে ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।