কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণবের মেয়ে

প্রণব মুখার্জির মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জিছবি: এএনআই ফাইল ছবি

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি বলেছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজ কর্মদোষেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কেজরিওয়াল ও আন্না হাজারের সমর্থক গোষ্ঠী মিলে দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিলা দিক্ষীতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছিলেন। শিলা দিক্ষীতের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনেক প্রমাণ হাতে থাকার দাবি করলেও তাঁরা কখনো তা জনগণের সামনে প্রকাশ করতে পারেননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শর্মিষ্ঠা।

আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে ভারতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আবগারি নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক্সে পোস্ট দিয়েছেন শর্মিষ্ঠা। তিনি মনে করেন, কেজরিওয়াল দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিলা দিক্ষীতের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করেছেন, তারই কর্মফল ভোগ করছেন তিনি।

শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, ‘তাঁর (কেজরিওয়াল) এবং আন্না হাজারের বাহিনী শিলা দিক্ষীতসহ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন, ভিত্তিহীন ও ভুয়া অভিযোগ তোলার জন্য দায়ী। তাঁরা বলেছেন, তাঁর (শিলা) বিরুদ্ধে ট্রাংকভর্তি প্রমাণ আছে। এখন পর্যন্ত কেউ সে ট্রাংকটি দেখতে পেল না। কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হয়।’  

এর আগে বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি কংগ্রেস দল এবং তাদের নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনা করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভয়ংকরভাবে কংগ্রেস সমর্থকদের ট্রলের শিকার হতে হয়েছে।
শর্মিষ্ঠা বলেন, ‘আমার বাবাকে নিয়ে লেখা বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই এমন হচ্ছে। আমি তাঁর (প্রণব) ডায়েরি থেকে অনেক তথ্য নিয়েছি। রাহুল গান্ধীকে নিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল। তিনি (প্রণব) বলেছিলেন, তাঁকে (রাহুল) রাজনৈতিকভাবে আরও পরিণত হতে হবে।’

শর্মিষ্ঠার আক্ষেপ, ওই বইতে তিনি কংগ্রেসকে নিয়ে অনেক প্রশংসা করলেও সেগুলো এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং দলটির নেতাদের কেউ কেউ তাঁর সমালোচনা করছেন।
শর্মিষ্ঠা মনে করেন, কংগ্রেসের দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে ভাবা উচিত। গত দুই লোকসভা নির্বাচনে বাজেভাবে হারের পর এখন আর দলীয় নেতৃত্বে রাহুলকে রাখা ঠিক হবে না।