দুর্গাপূজায় অনুদান কেন, জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা হাইকোর্ট
প্রথম আলো ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজায় কেন অনুদান দেওয়া হবে—রাজ্য সরকারের কাছে তার কারণ জানতে চেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। কারণ ব্যাখ্যা করে আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন আদালত। গতকাল সোমবার আদালত এ আদেশ দেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২২ আগস্ট  রাজ্যের ৪৩ হাজার পূজা কমিটিকে ৬০ হাজার রুপি করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে পূজামণ্ডপের বিদ্যুৎ বিলে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ারও ঘোষণা দেন। কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের পূজা কমিটি ও ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠকে যোগ দিয়ে এই অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা।

মমতার এই ঘোষণার প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি পৃথক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় পরদিনই। মামলা তিনটি পৃথকভাবে দায়ের করেন আইনজীবী পারমিতা দে, সুবীর ঘোষ এবং দুর্গাপুরের এক বাসিন্দা সৌরভ দত্ত।

এই জনস্বার্থ মামলা তিনটি দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের নেতৃত্বে গড়া ডিভিশন বেঞ্চে। গতকাল সোমবার এই তিনটি মামলাকে একত্র করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানিতে অংশ নেন আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবীসহ সরকারপক্ষের আইনজীবীরা।

আবেদনকারীরা দাবি করেন, এভাবে মানুষের কাছ থেকে নেওয়া করের টাকায় অনুদান দিতে পারে না রাজ্য সরকার। তাঁরা বলেন, যে রাজ্যে এখন অনেক মানুষ যেখানে দুবেলা খেতে পারে না, বহু এলাকায় বিদ্যুৎ পায় না, সেখানে এভাবে অনুদান দিতে পারে না রাজ্য সরকার।

এরপর রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, এ বিষয়ে রাজ্য সরকার এখনো কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। তবে আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী। তাই টাকা বিলি শুরু হয়ে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়?

শুনানির পর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ অনুদান দেওয়ার কারণ জানিয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন রাজ্য সরকারকে।

এই ৪৩ হাজার পূজা কমিটিকে ৬০ হাজার করে অনুদান দিতে রাজ্য সরকারের খরচ হবে এবার ২৪০ কোটি রুপি।