ভারতের ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার

ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনছবি: এএনআই

ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) সভাপতি হেমন্ত সরেনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তকারী কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গতকাল বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জেএমএমের সংসদ সদস্য মহুয়া মাঝি মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনকে গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেছেন। মহুয়া মাঝি রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছেন চম্পাই সরেনকে ঝাড়খন্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করতে।

২০০২ সালের আইন প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) ৫০ ধারার অধীন একটি জমি কেলেঙ্কারি মামলা ও অর্থ পাচারের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সরেনকে গত মাসে তলব করেছিল ইডি। রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে অবৈধ খনন ও জমি কেলেঙ্কারির দুটি মামলা ইডিতে তদন্তাধীন।

মহুয়া মাঝি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ইডি হেফাজতে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ইডি টিমের সঙ্গে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন পদত্যাগপত্র জমা দিতে। চম্পাই সরেনই হবেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী...আমাদের কাছে যথেষ্ট সংখ্যায় বিধায়ক আছেন।’

দিল্লির বাসভবনে ইডির তল্লাশির প্রতিবাদ করেছেন হেমন্ত সরেন। তিনি তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য নির্দিষ্ট আইনের ধারায় ইডির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলাও করেছেন।

সরেন অভিযোগ করেছেন, ইডি দিল্লিতে তাঁর বাসভবনে ‘তাঁকে ও তাঁর সমগ্র সম্প্রদায়কে হয়রানি ও অপমান করার জন্য’ তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেছে।

এদিকে রাঁচির জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার চন্দনকুমার সিনহা ভারতের একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘কিছু ঊর্ধ্বতন ইডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে...আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই মর্মে আবেদন পেয়েছি।’

আবেদনে মুখ্যমন্ত্রী সরেন বলেছেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যরা ও আমি তাদের (ইডি) কৃতকর্মের কারণে প্রচুর মানসিক চাপ এবং মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।’

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বিজেপির শাসনকালে (২০১৪-২) এখন পর্যন্ত অন্তত ১২৪ জন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১১৮ জন, অর্থাৎ প্রায় ৯৫ শতাংশ বিরোধী নেতা। এসব নেতার মধ্যে একাধিক রাজ্যের বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন।