কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণা করতে পৃথিবী ছাড়ল ভারতের মহাকাশযান
কৃষ্ণগহ্বরসহ (ব্ল্যাকহোল) মহাকাশের বিভিন্ন বস্তু নিয়ে গবেষণা চালাতে অভিযান শুরু করেছে ভারত। গতকাল সোমবার এ লক্ষ্যে পৃথিবী ছেড়েছে দেশটির একটি রকেট। রকেটে ‘এক্স–রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট’ বা ‘এক্সপোস্যাট’ নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে। সেটির মাধ্যমেই কৃষ্ণগহ্বর–সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
গতকাল সকালে রকেটটি ছোড়া হয় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে। এর আগে ২০২১ সালে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এ ধরনের অভিযান চালিয়েছ। সংস্থাটি বলেছে, কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে জ্ঞান অর্জনে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীদের সহায়তা করতে আগ্রহী তারা।
বিশাল আকৃতির নক্ষত্রের মৃত্যুর পর সৃষ্টি হয় কৃষ্ণগহ্বর। এমন কোনো কোনো নক্ষত্র সূর্যের চেয়েও শতকোটি গুণ বড়। এই গহ্বরে অতি ক্ষুদ্র আয়তনে অত্যন্ত বেশি ভর থাকে। ফলে কৃষ্ণগহ্বরের অভিকর্ষ বল এতটাই বেশি যে সেখানে কোনো কিছু প্রবেশ করলে আর ফিরে আসে না। এমনকি আলোও এই গহ্বরকে অতিক্রম করতে পারে না।
এক্সপোস্যাট তৈরি করতে ভারতের খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি রুপি। ধারণা করা হচ্ছে, কৃত্রিম উপগ্রহটি পাঁচ বছর ধরে গবেষণা চালাতে পারবে। এক্সপোস্যাট উৎক্ষেপণের পর ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ বলেছেন, ‘আমাদের সামনে অসাধারণ একটি সময় অপেক্ষা করছে।’
এর আগে ২০২৩ সালও ইসরোর জন্য ছিল সফল একটি বছর। এ বছরের আগস্টে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের কাছে অবতরণ করে ভারতের মহাকাশযান ‘চন্দ্রযান–৩’। এর কিছুদিন পরেই সূর্য নিয়ে গবেষণা চালাতে মহাকাশে পাঠানো হয় ইসরোর ‘অদিত্য–এল১’।