বৃষ্টি উপেক্ষা করে কলকাতায় জমজমাট ‘দুর্গাপূজা কার্নিভ্যাল’
কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজাকে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ইউনেসকো ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পূজার আয়োজনকে আরও আকর্ষণীয় করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৬ সাল থেকে দুর্গাপূজা শেষে কলকাতা ও শহরতলির সেরা প্যান্ডেল ও প্রতিমাগুলোকে নিয়ে বর্ণাঢ্য কার্নিভ্যালের আয়োজন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও কলকাতার রেড রোডে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য কার্নিভ্যাল। রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় এ কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্নিভ্যালে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই বছরের কার্নিভ্যালে অংশ নিয়েছে শ্রীভূমি স্টেটিং ক্লাব, সন্তোষ মিত্র স্কয়ার, কলেজ স্কয়ার, কুমারটুলী পার্ক, আহিরীটোলা সর্বজনীন, দেশপ্রিয় পার্ক, সুরুচি সংঘ, যোধপুর পার্ক, হাতিবাগান সর্বজনীন, সিংহী পার্ক, শিয়ারদহ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন, বাগবাজার সর্বজনীন, শোভাবাজার রাজবাড়ি, সিকদার বাগান দুর্গোৎসব, নাকতলা উদয়ন সংঘ, বোসপুকুর শতিলা মন্দির, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ, মহম্মদ আলি পার্ক সর্বজনীন, শিবমন্দির পূজা কমিটি, দমদম পার্ক তরুণ সংঘ, মানিকতলা চালতাবাগান সর্বজনীন, চেতলা অগ্রণী ক্লাবসহ মোট ১১৬টি পূজা কমিটি।
কার্নিভ্যালে কলকাতার বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিদেশি দূতাবাসের কূটনীতিক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন। ইউনেসকো ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, নেপাল, চীন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ভুটানের কূটনীতিকেরা এদিন উপস্থিত ছিলেন।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, এবারের কার্নিভ্যাল শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য পুলিশ সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে।
গত বছর আরজি–কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের আটটি সংগঠন ধর্মতলার রানী রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে পাল্টা ‘দ্রোহের কার্নিভ্যাল’ আয়োজন করেছিল।
এবারও ‘খোলা হাওয়া’ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে রোববার বিকেলে একটি প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দার্জিলিংয়ে বৃষ্টির কারণে ধসে ২১ জনের মৃত্যুর প্রতিবাদে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন বিজেপি নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদলীয় নেতা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
কলেজ স্কয়ার থেকে শুরু হয়ে এই প্রতিবাদ মিছিল ধর্মতলার ডরিনা ক্রসিংয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে আয়োজিত সভায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা দেন, ‘ছাব্বিশে এই বাংলা থেকে বিদায় হয়ে যাবে তৃণমূল। মমতা হয়ে যাবেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।’