মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিফাইল ছবি: এএনআই

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদর্শ নির্বাচনবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনে এই অভিযোগ দাখিল করেছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য সাকেত গোখেল আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, গতকাল রোববার অন্ধ্র প্রদেশের এক নির্বাচনী সমাবেশে নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে চেপে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর এই আচরণ নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে।

চিঠিতে বলা হয়, সেই জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তেলুগু দেশম পার্টির নেতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। নাইডুর দল এনডিএতে যোগ দিয়েছে।
সাকেত গোখেল সেই চিঠির সঙ্গে ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও দিয়েছেন।

পিটিআইয়ের তোলা সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অন্ধ্র প্রদেশের পালনাডুতে জনসভায় ভাষণ দেওয়ার জন্য বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে প্রধানমন্ত্রী নেমে আসছেন।
সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছিলেন, আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনকে তা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কারণ, প্রধানমন্ত্রী আচরণবিধি ভেঙেছেন।

সাকেত গোখেল লিখেছেন, তফসিল ঘোষণার পর নিয়ম অনুযায়ী প্রচারের জন্য সরকারি যানবাহন বা পরিবহন ব্যবহার করা যায় না। এবার দেখা যাক, এই আচরণবিধি ভাঙার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কমিশন কী ব্যবস্থা নেয়।

নির্বাচনের ঘোষণা করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ৪টি ‘এম’–এর ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ইংরেজি শব্দের ওই আদ্যক্ষরগুলো হলো মানি (অর্থ), মাসল (পেশি), মিসইনফর্মেশন (মিথ্যা প্রচার) ও এমসিসি (আদর্শ আচরণবিধি)।

রাজীব কুমার বলেছিলেন, এবারের ভোটে এই চার বিষয়ে কমিশন খুবই কঠোর থাকবে। সাকেত গোখেল বলেন, দেখা যাক বিধি ভাঙার জন্য কমিশন এবার কতটা কঠোর হতে পারে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহারসহ ছয়টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব পরিবর্তন করেছে। বদলি করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালককে।