পশ্চিমবঙ্গে মোদির জনসভার মাঠে খোঁড়াখুঁড়ি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিফাইল ছবি: এএনআই

আগামী রোববার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে এক নির্বাচনী জনসভায় নরেন্দ্র মোদির যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু এরই মধ্যে সেই জনসভার মাঠ খোঁড়াখুঁড়ির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে তৃণমূল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে এ নিয়ে প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বিজেপি জগদ্দলের পেপার মিল ময়দানে জনসভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে আজ সকালে মাঠটি ট্রাক্টর দিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। খবর পেয়ে বিজেপি নেতারা বারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থলে পৌঁছে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করে দেন।

এ ঘটনার পর বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেছেন, মাঠ খোঁড়াখুঁড়ি করেছে তৃণমূল। তারাই মোদির সভা বানচাল করার চেষ্টা করেছে। এর পেছনে রয়েছেন এই আসনের তৃণমূল প্রার্থী ও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।

এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জন্য এ ঘটনা ঘটেছে। আর পৌরসভা এ কাজ করেছে এলাকার প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের ইশারায়। এলাকার মানুষ ভোটের মাধ্যমে এর যোগ্য জবাব দেবে। আজ থেকে এ মাঠ পাহারায় থাকবেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।

তৃণমূলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেছেন, মাঠের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এ কাজ করা হয়েছে। এ মাঠে রানিং ট্র্যাক বানানো হবে। তাই মাটি সমান করা হচ্ছে। তোলা হচ্ছে মাটিতে মিশে যাওয়া প্লাস্টিক। তারপর মাঠে ঘাস লাগানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর আসার কথা তাঁর জানা ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। মাঠটি আগের মতো সমান করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

জগদ্দল বারাকপুর লোকসভা আসনের অন্তর্গত। লোকসভা নির্বাচনে এ আসনে এবার বিজেপির টিকিটে লড়ছেন এককালের তৃণমূলের দাপুটে নেতা অর্জুন সিং। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এর কিছুদিন পর আবারও তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মনোনয়ন না পেলে আবারও যোগ দেন বিজেপিতে। এরপরই পেয়ে যান বারাকপুর আসনে বিজেপির টিকিট।