জম্মু-কাশ্মীরে ব্যর্থতায় সরানো হলো বিএসএফপ্রধান নিতিন আগরওয়ালকে
ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক নিতিন আগরওয়াল ও বিশেষ মহাপরিচালক (পশ্চিম) ওয়াই বি খুরানিয়াকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়। জম্মু-কাশ্মীরে সম্প্রতি জঙ্গি হামলা ও অনুপ্রবেশের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ শনিবার দলজিৎ সিং চৌধুরীকে বিএসএফ মহাপরিচালকের (ডিজি) অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিএসএফের নতুন ডিজি নিয়োগ দেওয়া বা পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত দলজিৎ এই দায়িত্ব পালন করবেন।
গতকাল শুক্রবার আগরওয়ালকে প্রত্যাহারের আদেশ অনুমোদন দেন ভারতের মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি। এর আগে ৩০ জুলাই তাঁকে প্রত্যাহারের জন্য নিয়োগ কমিটির কাছে প্রস্তাব পাঠায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এখন আগরওয়ালকে প্রত্যাহার করে কেরালা রাজ্যে (প্যারেন্ট ক্যাডারে) নিয়ে আসা হয়েছে। ১৯৮৯ ব্যাচের কেরালা ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি।
আগরওয়ালকে গত বছরের জুনে বিএসএফের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ২০২৬ সালে তাঁর দায়িত্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল।
খুরানিয়াকে প্রত্যাহারের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছিল গত ২৬ জুলাই। তাঁকে ওডিশা রাজ্যে (প্যারেন্ট ক্যাডারে) ফেরত আনা হয়েছে। ১৯৯০ ব্যাচের ওডিশা ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি। পাকিস্তান সীমান্তের বাহিনী গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন খুরানিয়া।
স্ক্রলডটকম জানায়, জম্মুর সঙ্গে ভারতের ১৯২ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। ভারতের অন্যান্য সীমান্তের মতো বিএসএফকে এটার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু গত কয়েক মাসে জম্মুতে জঙ্গি হামলা ও অনুপ্রবেশ বেড়েছে।
গত মঙ্গলবার লোকসভায় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছরের ২১ জুলাই পর্যন্ত জম্মুতে ১৪ জন সাধারণ মানুষ ও সমানসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালে সারা বছরে সেখানে জঙ্গি হামলায় ১৪ জন সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০ সদস্য নিহত হয়েছিলেন। তবে ২০১৮ সালে সেখানে জঙ্গি-সংশ্লিষ্ট হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৯১ সদস্য ও ৫৫ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছিলেন।