দরিদ্রদের বাড়ি দেওয়ার প্রকল্পে দুর্নীতি: এবার ক্ষোভ জানাচ্ছেন তৃণমূলের সদস্যরাই

দরিদ্র ও গৃহহীনদের বাড়ি দিয়ে সহায়তা বা আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। খোদ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।

আবাস যোজনা প্রকল্প ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প। সেখানে ব্যাপক দুর্নীতি, আশ্রয়হীন ও গরিবদের বসতঘর থেকে বঞ্চিত করার ব্যাপক অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের একশ্রেণির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভেতরে–ভেতরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে।

আজ শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটার ব্লক ইনফরমেটিক্স দপ্তরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরাই। তাঁদের অভিযোগ, সরকারি কর্মকর্তারা তাঁদের কাছ থেকে বাড়ি বরাদ্দ করার জন্য অর্থ নিলেও তাঁরা বাড়ি বরাদ্দ করেননি। এ ভাঙচুরের নেতৃত্ব দেন এখানকার পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান শামসুল হক ও পঞ্চায়েত সদস্য মোবারক ইসলাম।

আজ আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে সরকারি দপ্তরে বিক্ষোভ দেখিয়ে দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, ওই দপ্তরের কর্মকর্তারা তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দিয়ে নিজেদের আত্মীয়স্বজনের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছেন।

গত শনিবার রাজ্যের হাওড়ার শ্যামপুরের তৃণমূলের বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়ে দেন, আবাস যোজনায় বহু গরিব ঘর পাননি, বঞ্চিত হয়েছেন। ঘর পেয়েছে গ্রামের বহু বিত্তবান ধনী পরিবার এবং তিনতলার পাকা বাড়ির মালিকেরাও।

যদিও এ ঘটনার পর আবাস যোজনায় তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে এই রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসসহ অন্যরা।

বিজেপি নেতা ও দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ বলেন, ‘জনরোষ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তৃণমূল এসব নাটক করছে।’ আর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘এসব ঘটনায় প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে, এই তৃণমূল সরকার শতভাগ চোর।’